মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট
উই গ্রুপ আমার জীবনের আর্শীবাদ হিসেবে এসেছে-উদ্যোক্তা নভেরা শবনম নভু

একজন নভেরা শবনম নভু। তিনি দিনাজপুরের মেয়ে তবে বর্তমানে বসবাস করছেন ঢাকায়। এস এস সি পরীক্ষার পরেই ঢাকায় চলে আসেন এইখানে উচ্চ পড়াশোনা শেষ করেন। তারপর চাকরিও করেছেন বেশ অনেক বছর। বিয়ের পরে সংসার চাকরি সব মিলিয়ে চলছিল। তবে প্রথমবার যখন মা হয়েছিলেন ঠিক তখনই চাকরির অবসান ঘটে।
তবে মনের মধ্যে অদম্য ইচ্ছে ছিল বরাবরই নিজের মতো কিছু করার। ইচ্ছে থাকলেও ঠিক পেরে উঠছিলো না। এরই মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান। গতবছর অর্থাৎ ২০২০ এর জুন মাসে খুঁজে পান “উই”কে। এতবছর পরে যেন তার স্বপ্নের দুয়ার খুলে যায়। সেই থেকেই উদ্যোক্তা পথ চলা। গড়ে তুলেছেন অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান “আয়োজন”।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার প্রতিনিধি রোয়েনা রহমান।
কিভাবে আপনার উদ্যোক্তা পথ চলা শুরু!
দেশকে ভালোবাসি তাই দেশের পন্য নিয়েই এগোতে চাই। তবে আমার একটা লক্ষ্য ছিল যেটা নিয়ে কাজ করব তা যেন হয় আমার আত্মবিশ্বাস থেকেই। তাই সোর্সিং হতে হবে একেবারেই আমার বিশ্বস্ত। ভেবে দেখেছি আমার ঘরের জিনিস যা আমার নিজের জিনিস তারচেয়ে ভালো বিশ্বাসি আর কি বা হতে পারে!!
বেছে নিয়েছি আমার জমির ফসলকেই। আমার ইচ্ছের কথা জানাতেই আমার বন্ধু বরটিও ভিষন আগ্রহ দেখান। আলহামদুলিল্লাহ্ তাকে আমি বন্ধু বরই বলি। কারন আজব্দি পুরো সাপোর্ট করে চলেছেন তিনি। সবসময় পাশে থেকেছেন। একটা বিষয় তা হলো জিরো মূলধন যেহেতু আমার নিজের জমির ফসল তাই আমাকে আলাদা করে মূলধন জোগাড় করে কাজ করতে হয়নি। আমার ভাগ্য ভালো অসম্ভব সহযোগিতা পাই আমি বন্ধুদের থেকে। সম্প্রতি আমি লাখোপতি হয়েছি। তাই ধন্যবাদ জানতে চাই আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষিদের। প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিবন্ধকতা খুব বেশি না পেলেও একেবারেই যে ছিল না বা নেই তা বলা যায় না। তবে আমি তাদেরও সাধুবাদ জানাই। তারাই আমাকে নিজের অজান্তেই আরও আগ্রহি আর উদ্যোমি করে তুলেছে। জীবনে কিছু কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকা শ্রেয়।
এইতো এভাবেই শুরু আমার দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী প্রসিদ্ধ সুক্ষ্যাত ফসল সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল নিয়ে পথ চলা। নিজেদের জমিতে উৎপাদিত ফসলকেই আমি সেরা মনে করি। কারন এতে রয়েছে শতভাগ বিশুদ্ধতা।
আপনি কি কি পণ্য নিয়ে কাজ করছেন?
আমার সিগনেচার আইটেম সুগন্ধি চিনিগুড়ার চাল হলেও পাশাপাশি রেখেছি বিভিন্ন ভাতের চাল। সিদ্ধ কাঠারি, নাজিরশিইল, মিনিকেট, ও ঢেঁকিছাটা চাল। আর নিজেদের বাগানের আম লিচু নিয়ে থাকব সামনের মৌসুমে ইনশাআল্লাহ। আমার পুরোপুরি আস্থা এই ফসল গুলোতে। কারন এ আমার নিজের ফসল আমার ঘরের ফসল। তাই এর স্বাদ একবার যারা গ্রহন করেছেন তারা আমাকে স্মরণ করেছেন বারবার আলহামদুলিল্লাহ্। আর তাই উই গ্ৰুপে অনেকেই আমাকে সুগন্ধি নভেরা আপু বলে ডাকেন।এতে আমিও উৎসাহিত হয়ে থাকি।

আপনার উদ্যোগটি নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
ভবিষ্যতে আমার ইচ্ছে আছে এভাবেই আমার দিনাজপুর এবং আমার দেশকে পরিচিত করে তোলা সমগ্র বিশ্বের দরবারে।আর সেটাই হবে আমার পেইজ ” আয়োজন ” এর মূল লক্ষ্য।
আমি বলতে ভালোবাসি…..
কিনি দেশি পন্য
দেশকে করি ধন্য