মাত্র এক বছরে ৪ লাখ টাকা সেল

 মাত্র এক বছরে ৪ লাখ টাকা সেল

ইচ্ছা ও উদ্যোম থাকলে সফলতা অনিবার্য। যেকোনো উদ্যোগে সফল হতে বিভিন্ন বাধাবিপত্তি পাড়ি দিতে হয়। আমাদের সমাজে নারী উদ্যোক্তা দের সম্মুখীন হতে বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক বাধা।এছাড়াও রয়েছে সহযোগিতার অভাব।আজ কথা বলব টাঙ্গাইল জেলার উদ্যোক্তা নাজমুন নাহার রুপা কে নিয়ে যিনি কিনা তার প্রবল ইচ্ছেশক্তি দ্বারা গড়ে তুলেছেন “Fairy Fashion house” ও “Nazmun kitchen” একা হাতেই পরিচালনা করছেন তার দুইটি বিজনেস।

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার প্রতিনিধি রোয়েনা রহমান

আপনার পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাই?

আমি নাজমুন নাহার রূপা টাঙ্গাইলের মেয়ে গাজীপুর এ শ্বশুর বাড়ী। কাজ করছি গাজীপুর সিটি চৌরাস্তা থেকে। এইসএসসি পরীক্ষা দিয়েই বিয়ে হয়ে যায় বিয়ের পর বাংলা তে অনার্স মাস্টার্স করি গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ থেকে।আমার আম্মা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন, আমার শ্বশুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন আমার স্বামী সহযোগী অধ্যাপক।শিক্ষক পরিবারে তাই বিয়ের পরও পড়া লেখা তে কখনো বাধা পাই নি বরং সহযোগিতা পেয়েছি।।আমার ৩ ছেলে মেয়ে।

আপনি কিভাবে উদ্যোক্তা হলেন?

পড়ালেখা করেছি স্বামী এর সহযোগিতা নিয়ে কারণ অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে আমি মা হয়ে যাই ক্লাস করা হয় না।। পড়ালেখা তে সহযোগিতা পেলে ও আমাকে চাকুরী করতে বাঁধা দিলেন আমার স্বামী তার কারণ উনি চাইতেন না আমি সারাদিন ঘরের বাইরে থাকি।পড়ালেখা করেছি স্বামী এর সহযোগিতা নিয়ে কারণ অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে আমি মা হয়ে যাই ক্লাস করা হয় না।। পড়ালেখা তে সহযোগিতা পেলে ও আমাকে চাকুরী করতে বাঁধা দিলেন আমার স্বামী তার কারণ উনি চাইতেন না আমি সারাদিন ঘরের বাইরে থাকি।আমার আম্মা যেহেতু স্কুল এ ছিলেন সারাদিন স্কুলে থাকতেন আর আমার ছোটো বেলা থেকেই সারাদিন মা ছাড়া থাকতে হয়েছে।। তাই উনিও উনার বাচ্চাদের মা ছাড়া থাকতে দিতে চান নি।।

আমার ছেলে মেয়েরা যখন স্কুলে সারাদিন থাকা শুরু হল আমি একা হয়ে যেতাম তখন আমার মাথায় আসলো ঘরে থেকেই উদ্যোক্তা হব।।আমার স্বামী ও রাজি হলেন।। এই ভেবে আমি আমার বাসার নিচে শো রুম দেই ২০১৭ সালে। ভালোই চলছিলো।২০২০ আমি করোনা লক ডাউন এ আমার শো রুম বন্ধ করে দিলাম কর্মচারীদের বেতন দিতে হচ্ছিল ঘরে থেকে।। হতাশায় পড়ে গেলাম।।এই সময়ে এক ছোটো বোনের মাধ্যমে উই নামের গ্রুপে জয়েন হৈ ২৩ জুলাই ।। সেপ্টেম্বর থেকে আমি পোস্ট করা শুরু করি।। আস্তে আস্তে আমাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।

আপনি কি কি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন?

আমি টাঙ্গাইলের শাড়ি থ্রি পিস,বিছানার চাদর, দেশীয় ডিজিটাল প্রিন্ট এর থ্রি পিস এ ছাড়া আমার সিগনেচার আইটেম ব্লক এর ম্যাচিং শাড়ি পাঞ্জাবী নিয়ে কাজ করি।।আমি টাঙ্গাইলের শাড়ি থ্রি পিস,বিছানার চাদর, দেশীয় ডিজিটাল প্রিন্ট এর থ্রি পিস এ ছাড়া আমার সিগনেচার আইটেম ব্লক এর ম্যাচিং শাড়ি পাঞ্জাবী নিয়ে কাজ করি।।আর আমি গত রোজার ঈদের পর আচার নিয়ে কাজ শুরু করেছি এই দেড় মাসে আমি আম সত্ত্ব, আমের কাশ্মীরী আচার, টক ঝাল মিষ্টি আচার খেজুর এর আচার সেল হয়েছে 40 হাজার টাকার। আমার সিগনেচার পন্য খেজুর এর আচার।

উদ্যোক্তা হতে গিয়ে কোন বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা এবং কার সাপোর্ট পেয়েছেন বেশি?

আমার আম্মা র ইচ্ছা ছিল কলেজে এর শিক্ষক হব মায়ের মত বড় বোনের ও এই ইচ্ছা ছিল কিন্তু স্বামী এর ইচ্ছা তে গৃহিনী হলাম।। শো রুম ঠিক ছিল কিন্তু আমার বোন ও বড় ছেলে কখনো ও চাইতো না অনলাইন এ দু একটা কাপড়ের পোস্ট দিয়ে উদ্যোক্তা হৈ।।তবে এখন পাশে আছেন কারণ আমি সফল হতে পেরেছি হেরে যাই নি।। সাপোর্ট বলতে গেলে বলব আমি আমার নিজের সাপোর্ট এ এত দূর আসতে পেরেছি আমি আমার নিজের উপর আস্থা ছিল এই আস্থা টা এসেছে আমার প্রিয় উই গ্রুপ থেকে।। আমি শুধু মাত্র এই একটা গ্রুপ এ আছি এবং সেল প্রায় ৪লাখ টাকা এই ১ বছরে।আমি বিশ্বাস করি ২ নৌকায় পা দিয়ে চলা যায় না।

আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?

আমার অনলাইন ও শো রুম এবং আমার আচার এর ব্যবসা তে অসহায় মেয়েদের নিয়ে এগিয়ে যাব।। আর আমার মাত্র শুরু করা ইউটিউব চ্যানেল টা দাঁড়িয়ে গেলে আমি এতিম বাচ্চাদের পাশে দাঁড়াবো। এখন যতোটুকু পারি ব্যবসার আয় থেকে চেষ্টা করি এতিম দের মাঝে মাঝে নিজে হাতে রান্না করে খাওয়াতে।।আমার জন্য দোয়া করবেন।। পরিশেষে বলব Nasima Akter nisha উই এর জননী প্রেসিডেন্ট যার জন্য আমরা নিজেদের পরিচয় তোলে ধরতে পারছি নিজেদের হারিয়ে যাওয়া নাম ফিরে পেয়েছি উনার জন্য সবাই দোয়া করবেন।।

পেইজ

https://www.facebook.com/Fairy.fashionhouse/

https://www.facebook.com/Najmun-kitchen-103691498271687/

https://youtube.com/channel/UCvIEqpDf8Jw0yI4lX_iWJLA

RedLive

Related post