মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট
শখই যার প্রয়োজন পূরনের সঙ্গী- উদ্যোক্তা তাসলিমা পারভীন

২০১৯ হতে করোনা মহামারীর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের চাকরি হারাচ্ছেন।প্রতিনিয়ত বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।যেসব নারীরা চাকরি করে স্বাবলম্বী ছিলেন, করোনায় চাকরি হারিয়ে সকলেই এখন বেকার জীবন অতিবাহিত করছেন।প্রতিনিয়ত ছুটে চলছে সবাই চাকরির খোজে।এসকলেই নিজ প্রয়োজনে ছুটে চলেছেন চাকরির পিছু।কিন্তু এর মধ্যে খুব কমই আছেন যারা নিজের দক্ষতা, গুন এসব দিয়ে নিজে কিছু গড়ে তুলেছেন আর নিজ কর্মসংস্থান করেছেন।আজ জানব এমনই একজন কে নিয়ে যিনি করোনায় চাকরি হারানোর পরও নিজের শখ, দক্ষতা কে প্রাধান্য দিয়ে নিজের অনলাইন ব্যাবসায় শুরু করেছেন।কথা বলছি তাসলিমা পারভীন কে নিয়ে, যিনি নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন তার অনলাইন বিজনেস ” মুখর”।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকা মিরপুরের প্রতিনিধি জান্নাতুল ফেরদৌস।
আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন?
আমি তাসলিমা পারভীন। আমরা চার ভাই বোন। তিন ভাই আর আমি। আমার জন্ম বেড়ে উঠা, পড়াশোনা সবকিছু ঢাকাতেই। এস.এস. সি ঢাকার একটি মিশনারী স্কুল থেকে। এইচ,এস,সি লালমাটিয়া মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে। অনার্স ও মাস্টার্স করেছি “শিশু বর্ধন ও পারিবারিক সম্পর্ক ” বিষয়ে। মাস্টার্স চলাকালীন সময় থেকেই আমার চাকুরী জীবন শুরু হয়। স্বামী একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরীরত।
আপনার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা কিভাবে?
আমি দীর্ঘ দিন একজন কর্মজীবি নারী হিসেবেই ছিলাম। নিজের পরিচয়ে পরিচিতি লাভ করা এবং নিজে কিছু একটা করার ইচ্ছা অনেকদিন থেকেই ছিলো। কিন্তু নানাবিধ কারনে নিজের জন্য কিছু একটা করা হয়ে উঠে নি। তবে ২০২০ সালে করোনার কারনে আমাকে চাকুরী ছাড়তে হয়। অনেক ব্যস্ত আমি একদমই কর্মহীন হয়ে পড়ি। শখের বশে ২০১৭ সালে অনলাইনে “মুখর” নামে একটা বিজনেস পেইজ খুলি। এই শখই আমার প্রয়োজন পূরন এর সঙ্গী হয়। আমার মনে হয় নানান রং এর কাপড় আর রঙিন সুতোর কাজটাই আমি ভালো পারবো। এ থেকেই আমার উদ্যোগ শুরু ও উদ্যোক্তা হয়ে উঠা। ঠিক সেই সময় টাই যুক্ত হই নারী উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম উই এর সাথে। উইতে এসে নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করি এবং তা বাস্তবায়নের পথ খুঁজে পাই। উই আমাকে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে তৈরী করার জন্য।
আপনি কি কি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছেন?
আমি শাড়ী, থ্রি পিস, বেবী ড্রেস, ম্যাটারনিটি ড্রেস, ফ্যামিলি কম্বো, ম্যাচিং ড্রেস নিয়ে কাজ করছি।

উদ্যোক্তা হতে গিয়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে কিনা এবং সবচেয়ে বেশি কার সাপোর্ট পেয়েছেন?
উদ্যোক্তা হতে গিয়ে আমি আমার পরিবারে সবার সাপোর্ট পেয়েছি সর্বক্ষেত্রে সব সময়। সবাই আমাকে অনেক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়েছে। অনলাইন প্লাটফর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমান জ্ঞান আমার ছিলো না এই বিষয় টাই আমার উদ্যোগ এর একটি বাধাঁ।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
“মুখর” একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে এটাই আমার স্বপ্ন। আর এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমি অসহায় ও দুস্থ নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই।