সিভি হোক আউটস্ট্যান্ডিং!

 সিভি হোক আউটস্ট্যান্ডিং!

সিভি বা রেজুমে যেটাই বলা হোক, যেকোনো চাকরির জন্য আবেদন করা, কোনো একটা ক্লাব বা এক্সট্রা কারিকুলার কাজের জন্য আবেদন করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আপনার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে জানার জন্য এই সিভি বা রেজুমে ই ব্যবহৃত হয়। বলা হয়ে থাকে সিভি বা রেজুমে অনেকটা ফার্স্ট ইমপ্রেশনের মতো। আমরা সবাই জানি যেকোনো ব্যাপারেই ফার্স্ট ইমপ্রেশন কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

এ কারণে যেমন অনেকের সিভি যেমন খুলেও দেখা হয়না আবার অনেকেই তার তৈরি করা আকর্ষণীয় সিভি বা রেজুমে দিয়ে নিজের কাংখিত চাকরিটি পাওয়ার পথে একধাপ এগিয়ে থাকেন। এখন যারা নতুন তাদের মনে  প্রশ্ন জাগতে পারে সিভি বা রেজুমের মধ্যে পার্থক্য কী। তাদের জন্য বলছি সিভি হলো আপনার যাবতীয় তথ্য গুলোকে বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপন করা।

এ কারণে সিভির আকার কিছুটা বড় হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে রেজুমে হলো আপনার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো এমনভাবে সাজিয়ে প্রকাশ করা যেন আপনার রেজুমে একঝলক দেখেই নিয়োগদাতা আপনার ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণা তৈরি করে ফেলতে পারেন। বলা বাহুল্য, রেজুমে সিভির চেয়ে আকারে ছোট হয়।

সিভি বা রেজুমে যেটাই তৈরি করুন না কেনো, সেটা পারফেক্ট হওয়া খুবই জরুরি। তাই আপনাদের জন্য রইলো সিভি বা রেজুমে তৈরি করার কিছু টিপস যেগুলো চাইলে ফলো করতে পারেন –

১। সফলতার কোনো শর্টকাট নেই এটা তো জানেন? তাহলে কেনো অন্য কারো সিভির টেমপ্লেট হুবহু কপি করবেন?বরং নিজে চেষ্টা করুন। কেননা যারা নিয়োগ দেন তারা কয়েকনজর দেখেই বুঝে যান আপনার সিভি বা রেজুমে আপনি নিজে বানিয়েছেন নাকি অন্য কারো সিভিতে নিজের তথ্য বসিয়ে দিয়েছেন। তাই নিজে একটু রিসার্চ করুন এবং নিজের সিভির টেমপ্লেট ইউনিক রাখুন।

২। সিভি কখনো খুব বেশি রংচঙে করবেননা। এমন কোনো রং ব্যবহার করবেননা যেটা চোখে লাগতে পারে। কালো, সাদা, ধূসর, নীল ইত্যাদি রং ব্যবহার করতে পারেন। তবে সামগ্রিকভাবে সাদা -কালোর কম্বিনেশন ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।

৩। অনেকেই আছেন যারা সিভির টেমপ্লেট আকর্ষণীয় করতে যেয়ে অতিরঞ্জিত করে ফেলেন।তখন আপনার তথ্যের চেয়ে সিভির টেমপ্লেটের দিকেই মনোযোগ চলে যায় যা উচিত নয়। তাই এমনভাবে সিভি বা রেজুমে তৈরি করুন, যা একইসাথে আকর্ষণীয় হয় আবার আপনার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ও যেনো সঠিকভাবে ফুটে ওঠে।

৪। সিভিতে অবজেক্টিভ নামে একটি সেকশন থাকে যেখানে নিজের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ফুটিয়ে তুলতে হয়। এটি গুগল থেকে কপি না করে নিজের ভাষায় গুছিয়ে লিখুন।

৫।সিভির ছবিতে কোনো সেলফি বা ফিল্টার দেয়া ছবি ব্যবহার করবেননা৷পাশাপাশি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড যেন ঠিক থাকে এ ব্যাপারেও খেয়াল রাখবেন। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ফরমাল পোশাকের ছবি সিভি বা রেজুমের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।

৬। সিভিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখার সময় আপনার সর্বশেষ যে শিক্ষাগত যোগ্যতা সেটা দিয়ে শুরু করবেন। যেমন আপনি সম্প্রতি মাস্টার্স শেষ করে থাকলে শিক্ষাগত যোগ্যতায় সেটার ব্যাপারে সবার আগে লিখবেন৷

৭। এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটি এবং কাজের অভিজ্ঞতা দুটাই থাকলে সেগুলো আলাদা সেকশনে উল্লেখ করুন।

৮। সিভি বা রেজুমেতে নিজের স্কিল ফুটিয়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে হার্ড স্কিলের পাশাপাশি সফট স্কিলের ও যথেষ্ট শুরুত্ব রয়েছে। তাই হার্ড স্কিল এবং সফট স্কিল আলাদাভাবে উল্লেখ করতে পারেন।

৯।সিভিতে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি শুরুর দিকে রাখবেন যেন যারা আপনাকে নিয়োগ দেবে তারা সিভির দিকে তাকালে শুরুতেই সেগুলো দেখতে পায়।

১০। সিভিতে নিজের অ্যাচিভমেন্ট উল্লেখ করুন। কারণ কোনো কিছুতে আপনার অ্যাচিভমেন্ট আপনার ডেডিকেশনের প্রমাণ দেয়। পাশাপাশি কোনো ট্রেনিং, সেমিনার ইত্যাদিতে অংশ নিলে সেগুলো ও উল্লেখ করুন৷

এই ছিলো দশটি টিপস যেগুলো ফলো করলে আপনার সিভি ও হয়ে উঠতে পারে আউটস্ট্যান্ডিং!!

লেখকঃ সুমাইয়া রহমান

RedLive

Related post