সৎ ইচ্ছা আর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলে সফল হওয়া সম্ভব-উদ্যোক্তা সুপ্রীতি পাল

 সৎ ইচ্ছা আর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলে সফল হওয়া সম্ভব-উদ্যোক্তা সুপ্রীতি পাল

নোয়াখালীর মেয়ে সুপ্রীতি পাল। শৈশব কৈশর এবং ছোট থেকে বড় এখানের আলো বাতাসে। ।তিনি ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেন। পরিবারে স্বামী এবং এক সন্তানের জননী। নিজের স্বপ্ন এবং নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে গড়ে তুলেছেন অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান “অঞ্জলি “

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার প্রতিনিধি রোয়েনা রহমান।

কিভাবে আপনার উদ্যোক্তা পথ যাত্রা শুরু!

ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতাম আমি কিছু করব। পড়ালেখার পাশাপাশি একটা স্কুলে শিক্ষকতা করেছি। ছেলে হওয়ার পর আর তা কন্টিনিউ করা সম্ভব হয় নি। অনেকদিন ঘরে বসেছিলাম। নিজের ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ঝাড় পুঁতি বানাতাম। আশেপাশের মানুষগুলো খুব প্রশংসা করত। এরপর দুই ননদকে নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু তারা মাঝপথেই ছেড়ে দিল, তাদের পড়ার ক্ষতি হচ্ছিল। এরপর আমি নিজেই কাজ শুরু করলাম। বিভিন্ন গ্রুপের আপুদের পোস্ট পড়ে উৎসাহিত হতাম। বিশেষ করে “উই” এর আপুদের পোস্ট পড়ে ভালো লাগত। তখন বুঝলাম, ঘরে বসেও স্বাবলম্বী হওয়া যায়। এভাবে শুরু হল আমার উদ্যোক্তা জীবন।

আপনি কি কি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন

প্রথমে শুরু করেছিলাম ঝাড় পুঁতি নিয়ে। এরপর শুরু করলাম হাতে বানানো গহনা নিয়ে। খুব সাড়াও পাচ্ছি। এরসাথে আছে ব্যাগ ও মিনি সার্জার ফ্যান।

উদ্যোক্তা হতে গিয়ে কোনো বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা এবং সবচেয়ে কার সাপোর্ট বেশি পেয়েছেন ?

উদ্যোক্তা হতে গিয়ে তেমন কোনো বাঁধা পাই নি। তবে নিজে ভাবতাম পড়াশোনা করে বিজনেস করলে লোকে কি বলবে। খুব সংকোচ হচ্ছিল। এই ভয়টার জন্য কিছুটা সময় নষ্ট হয়েছে। তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম, অন্যের কথায় কান দিয়ে লাভ নাই। আর আমি তেমন কারো সাপোর্ট পাই নি। শুধু আমার মা পাশে ছিল আর কিছু পরিচিত মানুষের সাপোর্ট পেয়েছি।

আপনার উদ্যোগটি নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

ছোট্ট ছোট্ট পায়ে ঠিক পৌঁছে যাব। হ্যাঁ আমার স্বপ্ন আমার নিজের ডিজাইনের জুয়েলারি সবার কাছে পৌঁছে যাক। নিজের যেন একটা পরিচিতি গড়ে তুলতে পারি। সবখানে আমার অঞ্জলি ‘র নাম ছড়িয়ে পরবে। অসহায় মানুষদের যেন নিজের টাকা দিয়ে সাহায্য করতে পারি।

RedLive

Related post

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।