মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট
হ্যান্ডপেইন্টিং এ মন রাঙাচ্ছে দুই তরুণীর উদ্যোগ-শ্রাবস্তী!

ছবিতে:সুমাইয়া এবং ফারহানা।
হলের বারান্দা থেকে শুরু। এরপর হলের এর ওর কাছে কিংবা পহেলা বৈশাখের মেলায় স্টল দিয়ে বিক্রি। শাড়িতে-কাপড়ে হ্যান্ডপেইন্টিং করার কাজটা স্বল্প পুঁজিতে শখের বশে শুরু করলেও করোনা মহামারীতে সেটিকেই পরিপূর্ণ উদ্যোগে রূপ দিলেন খুলনার সুমাইয়া এবং ঢাকার ফারহানা।
পড়ালিখার আর চাকরির পাশাপাশি এই দুজন এগিয়ে চলেছেন দেশি পণ্যের কাজ নিয়ে। দেশি সংস্কৃতিকে লালন করার তাগিদে এই দুজন গড়ে তুলেছেন ‘শ্রাবস্তী‘। শাড়ি থেকে পাঞ্জাবী, কুশন অথবা বেডশীট- সবকিছুই রাঙাচ্ছেন রঙ-তুলিতে, ভরিয়ে তুলছেন তাদের সৃজনশীলতার আলোয়।
আজ এ দুজন তরুন উদ্যোক্তা ও তাদের গড়ে তোলা উদ্যোগ নিয়েই আমাদের আয়োজন।

? সৈকত আহমদঃ আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা?
ফারহানা বিনতে করিম ও সুমাইয়া ইসলামঃ ভালো আছি। আপনি ভাল আছেন?
? সৈকতঃ আমিও ভাল আছি। আমরা জানতে পেরেছি যে আপনারা দুজনে মিলে ‘শ্রাবস্তী’ নামে একটি উদ্যোগ শুরু করেছেন এবং চালিয়ে যাচ্ছেন। তো সেটি নিয়েই গল্প হবে। তার আগে আপনারা নিজেদের পরিচয় দিন।
সুমাইয়াঃ আমি সুমাইয়া ইসলাম। পাবনায় থাকি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আছি।
ফারহানাঃ আমি ফারহানা বিনতে করিম। ঢাকায় থাকি। পড়াশুনা করছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগে। করোনার আগে আমার শেষ বর্ষের পরীক্ষা চলছিলো।
? সৈকতঃ আপনাদের দুজনের পরিচয়টা কিভাবে? কখন থেকে? আপনাদের সেই গল্পটা আমরা শুনতে চাই।
ফারহানাঃ আসলে আমাদের পরিচয় জন্মের পর থেকেই (হাসি)। আমরা সমবয়সী এবং একই সেশনের হলেও সম্পর্কে সুমাইয়া আমার ছোট খালা। আমরা প্রায় সমবয়সী হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই আমাদের মধ্যে একটা বন্ডিং ছিলো।
সুমাইয়াঃ (হাসি) বয়সে কাছাকাছি হলেও জন্মের সাত মাসের মাথায়ই ফারহানার খালা হয়ে গেছি। তাই ওর জন্ম থেকেই আমাদের পরিচয় এবং একসাথে বেড়ে ওঠা। তবে তা সত্ত্বেও আমরা দুজন দুটো ভিন্নমতের মানুষ।

? সৈকতঃ আচ্ছা। এবার তাহলে শুরু করুন শ্রাবস্তী-এর উদ্যোগ হাতে নেওয়ার পেছনের পটভূমিটা জানিয়ে।
সুমাইয়াঃ বুটিকের কাজের প্রতি আমার আকর্ষণ অনেকদিনের কিন্তু বাজেটের সমস্যার কারণে সেগুলো করা হয়ে উঠতো না। তবে কাজগুলো খুবই ভাল লাগত। ছোটবেলায় নিজে ডিজাইন করে জামা বানাতাম। অন্যেরা পছন্দও করতো সেসব।
রংতুলির কাজে আগ্রহ ছিল কিন্তু বাসা থেকে করতে দিতো না। সব মিলিয়ে ২০১৮ এর শেষ দিকে ভাবলাম, না, এবার কিছু একটা করে ফেলি। সেখান থেকেই শুরু। হল এর বারান্দা থেকে শুরু হলো শ্রাবস্তীর যাত্রা। প্রথমবার ৩৫০ টাকায় একটি জামা বিক্রির আনন্দ আমার এখনো মনে আছে!
তবে শুরুতে রুমমেটসহ আরো কিছু মানুষের সহায়তা ছিল। ‘শ্রাবস্তী’ নামটা পাই এক বন্ধুর কাছ থেকে। সেই নামেই খুলি পেইজ। সেসময় শাড়ি, পাঞ্জাবী, বেবি ড্রেস, বেডশীট, রেশমি চুড়ি মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজারের মত আসে আমার।
পরে ২০১৯ এর শেষ দিকে কাজকর্ম কিছুটা স্তিমিত হয়ে গেল এই লকডাউনে ফারহানার সহযোগিতায় আবারও কাজ শুরু করা। এই তো।
ফারহানাঃ আমরা দুইজন একসাথে নতুন করে শুরু করি ২০২০ এর মে মাসে। সেসময়ে দেশে করোনা মহামারির জন্যে লকডাউন চলছিলো।
তখন দেখলাম, কেনাকাটার জন্য সবাই অনলাইনের উপর নির্ভর করছে। তখন আমরা নিজেদের জন্য ফ্রি টাইমে দুটো শাড়ির কাজ করার কথা চিন্তা করি এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় সবই অনলাইন থেকে কিনে আনি। এরপরেই আবার শুরু।

? সৈকতঃ এরপর আপনারা শ্রাবস্তীর নতুন শুরুতে কি কি করেছেন এবং কিভাবে করেছেন?
ফারহানাঃ ওই যে বললাম শুরু করেছিলাম নিজেদের জন্য দুটো শাড়ির মাধ্যমে। বসে ছিলাম, হাতে অনেক সময় ছিলো। মনে হলো প্রোডাক্টিভ কিছু করা যায় কি না। সেখান থেকেই “শ্রাবস্তী” এর কাজ আমরা নতুন ভাবে শুরু করি।
কাজটা শুরু করি এ বছর রোজার ঈদের পর এবং খুব কম ইনভেস্টমেন্টে নিজেদের ঈদ সালামী থেকে কাজ শুরু করি। প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত সব কাঁচামালের জন্য অনলাইনের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে আমাদের।
আর আমরা অর্ডার পাঠাই কুরিয়ারে। পরিবহন খরচ বাবদ ১৫০ টাকা করে নিচ্ছি। তবে পণ্যের আকার ও ওজনভেদে সেটার তারতম্য হয়।
সুমাইয়াঃ আসলে শুরুর কথা বললে সেই হলের বারান্দায় থেকেই শুরুটা বোঝায়। মাঝে নিজের অসুস্থতা এবং পড়ালেখার চাপে কাজ প্রায় থেমে গেলেও মনের ভেতর ইচ্ছেটা পুষে রেখে ছিলাম। লকডাউনে আবার শুরু করলাম। আল্লাহর রহমতে এখন সামাল দিতে কষ্ট হচ্ছে।

? সৈকতঃ শ্রাবস্তীতে আপনারা কি নিয়ে কাজ করছেন? আর কি কি সেবা দিচ্ছেন?
ফারহানাঃ আমরা কাজ করছি দেশী পন্য নিয়ে; দেশের কারিগরদের তৈরী শাড়ি বা কাপড়ে আমরা প্রধানত হ্যান্ডপেইন্ট এবং ব্লক এর কাজ করি। সুতি, হাফসিল্ক এবং খাদি কাপড় নিয়েও কাজ করছি।
আর বর্তমানে আমাদের পণ্যের মধ্যে আছে শাড়ী, পাঞ্জাবী, ওয়ান পিস বা টু পিস কামিজ, বেডশীট, কুশন কভার, বেবি ড্রেস ইত্যাদি। এবং অবশ্যই সবই হ্যান্ডপেইন্ট বা ব্লকের কাজ করা।
? সৈকতঃ বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা কেমন? আপনারাই বা সাড়া কেমন পাচ্ছেন?
সুমাইয়াঃ নতুন শুরুর দু-তিন মাসের মধ্যে সাড়া পাচ্ছি বেশ। কাজের ব্যস্ততা বেড়েই যাচ্ছে দিন দিন।
শেষ দুই মাসে প্রায় ২০টি শাড়ি, তারচেয়েও বেশি থ্রি পিস-টু পিস-ওয়ান পিস, ১০টির মতো পাঞ্জাবী আর অনেকগুলো বেডশীট ও কুশন কভার বিক্রি হয়েছে। বড় স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছি।
? সৈকতঃ এত এত পণ্য নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকতেও কেন এই হ্যান্ডপেইন্টিং এর কাজই বেছে নিলেন আপনারা?
ফারহানাঃ মূলত দেশী পন্যের প্রতি ভালোবাসাই এর পেছনে কারণ। বিদেশী পণ্যের জন্য আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। এই কাজটার মাধ্যমে দেশের পণ্য, দেশের প্রতিভা সবার মাঝে বিস্তৃত করতে চাই আমরা।
সুমাইয়াঃ আসলে রঙের প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল, কিন্তু কেনার মতো সামর্থ্য ছিল না। শেখার ইচ্ছে থাকলেও বাসা থেকে অনুমতি ছিলো না। রঙের প্রতি ভালোবাসা থেকেই মূলত এই কাজের প্রতি আকর্ষণ। ছোটবেলায় কাউকে ছবি আঁকতে দেখলে খুব ভালো লাগতো। ভাবতাম, এমন সুন্দর করে আমিও পারিনা কেন?
আর এখন রংয়ের কাজে ডুবে থাকতেই ভালোবাসি।
? সৈকতঃ এবার একটু সংগ্রামের গল্পে আসি। আপনারা নারী উদ্যোক্তা হিসেবে শ্রাবস্তী এর কাজে কি কি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন?
সুমাইয়াঃ যত প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছি তাদের প্রধান কারণ হলো আমি একজন মেয়ে। কাজের প্রয়োজনে বাসার বাইরে যাওয়ার অথবা শহরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি বাসা থেকে পাই না।
এখনো সব কাজের জন্য অনলাইন এর ওপর নির্ভর করি আমি। মেয়ে হয়েও কিছু করতে পারবো এই বিশ্বাস পরিবার থেকে অর্জন করতে হলে আমাকে আরও পরিশ্রম করতে হবে।
ফারহানাঃ সব কাজেই প্রতিবন্ধকতা থাকে। আমাদেরও ছিলো। প্রথম দিকে সমস্যা হয়েছে মার্কেট এনালাইসিস নিয়ে। করোনার মধ্যে শুরু করার জন্য বাজার যাচাই করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে আমাদের। কাজটা প্রথমে আমরা খুব ছোট পরিসরেই শুরু করেছিলাম। তারপর বেশ সাড়া পেতে থাকি।
মানুষ কম, তাই অর্ডার সামলাতেও বেশ কষ্ট হয়েছিলো। মহামারির ফলে কুরিয়ার সার্ভিসগুলো পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে অনেক দেরী করছিলো। সঠিক কুরিয়ার বাছাইয়ের জন্য অনেক ঝামেলাও পোহাতে হয়।

? সৈকতঃ সেগুলো থেকে উত্তরণের জন্য বা সমাধানের জন্য কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন আপনারা দুজন?
ফারহানাঃ আমাদের যে কাজ মূলত রং,ক্যানভাস নিয়ে। এরপর আমরা কাজটা ফুটিয়ে তুলি কাপড়। তো এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রচুর পড়াশুনা করতে হয়েছে। পণ্য যাচাইয়ে সচেতনতা অবলম্বন করে বাইরে যেতে হয়েছে।
তবে এখন পরিবার থেকেও আলহামদুল্লিল্লাহ্ বেশ সাপোর্ট পাচ্ছি। এই কারনে সব কাজগুলো গুছিয়ে উঠছে ভালোভাবে। তাও প্রতিনিয়ত ছোট ছোট সমস্যা হচ্ছে এবং আমরা তার সমাধান করছি।
সুমাইয়াঃ আসলে প্রতিবন্ধকতা থেকে উত্তরণের জন্য কি কি করতে হবে তার সবটুকু আমাদেরও জানা নেই। বিভিন্ন নতুন পরিস্থিতিতে উদ্ভুত সমস্যাগুলো পূরণের মাধ্যমেই আপনি সামনে এগিয়ে যাবেন। পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেবেন।
তবে আমার পার্টনার ফারহানা অনেক সাপোর্টিভ। আরো একজনের নাম না বললেই নয়, রাগিব শাকিল। শুরু থেকেই যে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতায় চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস রেখে গেছে।
? সৈকতঃ বেশ ভালো। শ্রাবস্তী নিয়ে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
ফারহানাঃ পরিকল্পনা হলো আমাদের এই ছোটো উদ্যোগটিকে আরও বড় এবং বিস্তৃত করা। এর মাধ্যমে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও তৈরী করতে পারবো ইনশাআল্লাহ্।
সুমাইয়াঃ হ্যাঁ। আমরা চাই আলাদা একটা স্থায়ী স্থান গড়তে। সামনে অলংকার ও কুর্তি নিয়ে আসার কাজ করবো ভাবছি। ইচ্ছে আছে, গ্রাহকের সব চাহিদা যেন একটা জায়গা থেকেই পূরণ করতে পারি। অর্থাৎ কেউ এখানে এসে একসাথে সব কিছু নিয়ে যেতে যেন পারে। শাড়ি বা জামার পাশাপাশি অলংকার এবং ব্যাগসহ আরো প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোও যেন তারা এক জায়গা থেকেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী নিতে পারে।
চাই শ্রাবস্তী দিয়েই পরিচিতি হবে আমাদের। পরবর্তীতে শোরুম এর মত কিছু করার ইচ্ছা আছে আমাদের। নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আরো নতুন কিছু নিয়ে আসার চিন্তা করছি। সবার চাহিদা অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টায় আছি।
? সৈকতঃ এ সময়ে দেশে অনেক নতুন উদ্যোক্তা উঠে আসছেন। তো নতুন উদ্যোগ হাতে নিতে ইচ্ছুক এমন উদ্যোক্তাদের প্রতি আপনাদের উপদেশ কি?
সুমাইয়াঃ এখন সবাই নিজেদের ভালোলাগার জিনিসগুলোকে সবার সামনে একটা রূপ দিতে পারছে। উদ্যোগ নিচ্ছে নিজের পায়ে দাঁড়াবার। আমি নতুন উদ্যোক্তাদের সবাইকে জানাতে চাই যে নিজের উপর বিশ্বাস রেখে কাজ করে গেলে সাফল্য আসবেই।
আরেকটা কথা, ব্যর্থতা আসলেও যেন থেমে না থাকি আমরা। আজকাল অনেকেই উদ্যোক্তাদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা অথবা মজা করে। পরিবারও হয়তো শুরুতে সেভাবে বোঝে না। তবে নিজেকে প্রমাণ করতে হলে সামনে এগিয়ে যেতেই হবে।
ফারহানাঃ নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আমার একটাই সাজেশন থাকবে, যদি আসলেই ই-কমার্সে বা অনলাইন সেক্টরে কিছু করতে চান, আপনাকে প্রচুর ধৈর্য্য নিয়ে আসতে হবে।
আর বাজার যাচাই করে আসাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এতে পণ্যের বাজার মূল্য, কাঁচামাল ইত্যাদি নিয়ে সুস্পষ্ট ধারনা হয়। তাছাড়া নিজস্ব পণ্যের বাজার সম্পর্কেও ভালো ধারণা পাওয়া যায়।

? সৈকতঃ আপনাদের মতো তরুণ উদ্যোক্তাদের যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেগুলো সমাধানে কী কী করা যায় বলে মনে করেন?
সুমাইয়াঃ যেকোনো কাজের শুরুতে বাধা আসবে, সমালোচনা হবে। সেগুলোকে শক্তি হিসেবে নিয়ে সামনে এগোতে হবে। আমি অনেকবার থেমেছি, ভেবেছি আমি পারবো না। অনেকেই আমার থেকে ভালো করছে।
আবারও শুরু করেছি। অলিগলি ঘুরে অনেক মানুষের সাথে কথা বলে বলে নিজের অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছি, কাজ শুরু করেছি। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, দেশের জন্য কিছু করতে হলে তরুণ বয়সেই তো করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বসে না থেকে সবারই উচিত নিজেকে খুঁজে ভালো লাগার কাজটা থেকে কিছু করতে শুরু করা।
ফারহানাঃ আমাদের দেশের অনেকেই উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী। কিন্তু তারা সঠিক দিকনির্দেশনা পায় না। ফলে দেখা যায় কিছু দূর গিয়েই ব্যর্থ হতে পড়ে। সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য উদ্যোক্তাদের আরো ভালো ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এখন অবশ্য সরকারী ও বেসরকারীভাবে বিভিন্ন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আর মূলধন স্বল্পতাও একটা বড় বিষয়। এক্ষেত্রে সরকারী সহায়তা থাকলে উদ্যোক্তাদের জন্য তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে।
? সৈকতঃ ফারহানা এবং সুমাইয়া, ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের সময় দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।
সুমাইয়া এবং ফারহানাঃ আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ, আমাদেরকে সুযোগ দেওয়ার জন্যে। ভাল থাকবেন।
☞ সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেনঃ সৈকত আহমদ।
ব্যবসায়িক প্রয়োজনে কিংবা পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী ব্যক্তিগণ সুমাইয়া ইসলাম এবং ফারহানা করিমের সাথে যোগাযোগ করতে যেতে পারেন তাদের ফেসবুক পেইজে।
লিংকঃ- https://www.facebook.com/srabastibd/