২০৫০ সালে কেমন হতে পারে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির অবদানে মানব জীবন?

 ২০৫০ সালে কেমন হতে পারে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির অবদানে মানব জীবন?

বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি লেখক এইচ জি ওয়েলস আজ থেকে ১০০ বছর আগে তার লেখায় উল্লেখ করেছিলেন ভিন্ন গ্রহে মানুষের অভিযান, পৃথিবীব্যাপি তারবিহীন যোগাযোগ বা ইন্টারনেটের কিংবা পারমানবিক বোমা সহ আরো অনেক কালজয়ী আবিষ্কারের কথা। বর্তমান যুগে এইসব প্রযুক্তিগুলো সহজ লভ্য হলেও, সেই সময়কার মানুষের কাছে এই প্রযুক্তি গুলো ছিলো নিখাদ কল্পনা।

মেধাবী মানুষদের কল্পনার মাঝেই লুকিয়ে থাকে ভবিষ্যৎ আবিষ্কারের বীজ। আমাদের কল্পনার চেয়েও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি যোগ হচ্ছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। আজ থেকে ৫০ বছর আগে কেউ কি আজকের দিনের মতো হাতে হাতে মোবাইল কিংবা সবার ঘরে কম্পিউটার কল্পনা করতে পেরবছিলো। কিন্তু বিজ্ঞান আমাদের প্রতিনিয়ত একের পর এক চমক উপহার দিয়েই যাচ্ছে।

আজ ২০২১ এ থেকে ২০৫০ এ প্রযুক্তি কেমন হবে তা শতভাগ ভবিষ্যত বাণী করা অসম্ভব। তবুও মানুষের কল্পনাশক্তি তো আর কখনো কোনো সীমা মানে না।

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন ২০৫০ এর কথা। ২০৫০ এর এই প্রযুক্তি আমাদের কাছে হয়তো অসম্ভব কিংবা উর্বর মস্তিষ্কের ভাবনা মনে হতে পারে কিন্তু বিজ্ঞানের তো চমক দেয়ার জন্যই সৃষ্টি। চলুন দেখে আসি, কেমন হতে পারেন ২০৫০ এর কিছু প্রযুক্তি ।

মহাকাশে ছুটি কাটানো


বর্তমানে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন মঙ্গল গ্রহে মানুষের আবাস গড়ে তোলার জন্য। এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান SoaceX এবং জেফ বেজোসের Origin সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এ প্রকল্প সফল করার জন্য। বিজ্ঞানীদের আশাবাদ ২০৫০ নাগাদ ছুটি কাটানোর জন্য মানুষ মহাকাশ ভ্রমনে যেতে পারবে। দেশ-বিদেশের পর্যটন এলাকার মতোই হবে মহাকাশ।

বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ব্যাবহার


২০১৪ সাল পর্যন্ত ৩২০০০০ বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছিলো। ২০১৯ সালে যা তেইশ লক্ষ ছাড়ায়। বিজ্ঞানীদের মতে ২০৫০ সাল লাগাদ সিংহভাগ গাড়ি হবে বিদ্যুৎ চালিত।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাবহার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ চিকিৎসাক্ষেত্রে থেকে দৈনন্দিন জীবন পর্যন্ত পৌছে গেছে। বিজ্ঞানীদের মতে ২০৫০ নাগাদ সকল ইলেকট্রনিকস ডিভাইসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করা হবে এবং রোবটের ব্যাবহার বহুগুন বেড়ে যাবে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানী


বর্তমানের বিজ্ঞানীদের মতে শক্তিররূপ পরিবর্তনে সম্পন্ন নবায়নযোগ্য জ্বালানী আবিষ্কার সম্ভব। ২০৫০ নাগাদ সংরক্ষণ করা যাবে এমন শক্তির আবিষ্কারের ব্যাপারে আশাবাদী জ্বালানী বিজ্ঞানীরা। গ্যাস,তেলের উপর চাপ কমাতে ২০৫০ সূর্যশক্তি এবং উইন্ডমিলের সাহায্যে উৎপাদিত শক্তি অধিক ব্যাবহার হবে।

ওয়াইফাই ব্রেন


বিজ্ঞানীরা ২০৫০ সাল নাগাদ মস্তিষ্কে মাইক্রো চিপ প্রতিস্থাপনে আশাবাদী। বিজ্ঞানের ভাষায় এই চিপ গুলোকে বলা হয় ব্রেইন ড্রপস বা নিউরন ডাস্ট। বিখ্যাত বিজ্ঞানী প্রফেসর মাইকেল এম. মাহারবিজ এর মতে, এ চিপের সাহায্যে ছবি, যোগাযোগ, কোন ডাটা সংরক্ষণ করার মতো জটিল কাজ করা যাবে।

লিখেছেনঃ
হাসিবুল হাসান দুর্জয়

ফিচার ইমেজঃ
Created by Hasin MAHTAB
All Rights Reserved by RED LIVE

ইনফো সোর্সঃ bbc.com, earth2050, forbes.com

RedLive

Related post