বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক ; ডিজিটাল বাংলাদেশের এক নতুন যুগান্তকারী অধ্যায়

 বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক ; ডিজিটাল বাংলাদেশের এক নতুন যুগান্তকারী অধ্যায়

জ্ঞানভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠা এবং উন্নত আইটি শিল্পের প্রসারে সিলেটে তৈরি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক।

বর্তমানে সব দেশ গুলোই আইসিটি, আইটি এর দিক থেকে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। সে দিক থেকে বাংলাদেশ বহু পিছিয়ে। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমাদের এগিয়ে নিতে সর্বাত্বক কাজ করছে। পরবর্তী সময়গুলোতে হতে যাচ্ছে প্রযুক্তির লড়াই। সেদিক থেকে আমাদের দেশে আইটি কাঠামো ও শিল্প গড়ে তোলা প্রয়োজন।

 ইকো-সিস্টেমের শেষ গন্তব্য হল সাধারণভাবে জ্ঞানভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এবং বিশেষ করে আইটি/আইটিইএস এবং উন্নত হাইটেক শিল্প প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে এবং বিশ্বব্যাপী আইটি উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক ক্ষেত্র সম্প্রসারণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। আমাদের দেশে সম্প্রতি আইটি ও প্রযুক্তি এর হাওয়া লেগেছে সর্বত্র। সরকারের ভিশন দেশকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সে লক্ষ্যে দেশে গড়ে উঠছে আইটি প্রতিষ্ঠান, আইটি পার্ক। 

সেই সুবাধে চা এর রাজ্য সিলেটে গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক, এটি এখনো নির্মানাধীন। নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক সিলেটে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের নতুন দরজা খুলে দিচ্ছে। প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ চলতি বছরেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।  

এছাড়া, এই খাতে কমপক্ষে ৫০,০০০ লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু আইসিটি পার্কে বিনিয়োগ শুরু করেছে। আরও অনেকেই বিনিয়োগে আগ্রহী, তবে পার্কের ছোট আকারের কারণে কিছু প্রতিষ্ঠানকে জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। কিন্তু জায়গা বাড়লে কর্তৃপক্ষ সেগুলো বিবেচনা করবে।


 জানা যায়, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বার্নি এলাকায় ১৬৩ একর জমিতে বঙ্গবন্ধু আইসিটি পার্কের কাঠামো তৈরি হচ্ছে।  সিলেট হাই টেক পার্ক, যা সিলেট ইলেকট্রনিক সিটি নামে পরিচিত, এটি শহর থেকে মাত্র ২০ কি.মি দূরে।

সাইটটিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেল্ট, আইসিটি বিজনেস জোন, প্রশাসনিক এলাকা, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটি, ইনফ্রাস্ট্রাকচার জোন এবং জোন বডি হিসেবে আলাদা জোন থাকবে। 

পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, বিনিয়োগকারীরা কাজ শেষ হওয়ার আগেই হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। তথ্য সুত্র অনুযায়ী সনি র‍্যাংগস ৩২ একর জমি, একটি পাঁচ তারকা হোটেলের জন্য ৩ একর, একটি বোট ক্লাবের জন্য ২ একর, ব্যাংক ভবনের ডান পাশে অগ্রণী ব্যাংক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (SUST) এর তৃতীয় তলায় কিনেছে প্রশাসনিক ভবন, এবং চার বা পাঁচ জন ব্যাক্তি ভবনটির দুই তলা এবং নিচতলা কিনেছেন।

এছাড়া, আরও অনেক বিনিয়োগকারী সেখানে জমি কিনেছেন। 

তাছাড়া, যখন আরএফএল কোম্পানি ১০০ একর জমি চেয়েছিল, তখন পর্যাপ্ত জমি না থাকায় তাদের দেওয়া যায়নি। তবে পরবর্তীতে পার্কের পরিধি বাড়ানো হলে পার্ক কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে ভাববে। 

 সংশ্লিষ্টদের মতে, যদি এটি বিনিয়োগকারীদের দ্বারা পরিপূর্ণ হয়, তাহলে আইসিটি খাতে উন্নয়নের মাধ্যমে প্রায় ৫০,০০০ লোকের কর্মসংস্থান হবে। এতে সিলেট অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে আরো উন্নত হবে। 

  বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের পরিচালক ড. গোলাম সারোয়ার ভূঁইয়া বলেন, সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিক্স পণ্য এবং যন্ত্রাংশ তৈরি করা হবে। এখন থেকে সবাই এখানে বিনিয়োগ করতে পারে। অনেকেই এখানে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। এটিতে প্রায় ৩১০০০ বর্গফুট, কেবল সেতু, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, গ্যাস লাইন এবং পাওয়ার সাবস্টেশনগুলির একটি আইটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র রয়েছে।

লিখেছেন : আরাফাত রহমান

Brinty Saha

Related post