একজন মরিয়ম আক্তার সাদ্ধী অর্গানিক পন্য নিয়ে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন-

 একজন মরিয়ম আক্তার সাদ্ধী অর্গানিক পন্য নিয়ে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন-

বরিশাল’র মেয়ে, এবং খুলনার বউ মরিয়ম আক্তার সাদ্ধী একজন নারী উদ্যোক্তা। ছোট থেকে বড় হওয়া বরিশালের আলো বাতাসে।বর্তমানে তিনি বরের চাকরিসূত্রে বরিশাল পটুয়াখালী বসবাস করেন। তিনি পড়াশোনা করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ তে বিএস সি ইন ফিসারিস এ।

কিভাবে আপনার উদ্যাগ টি শুরু করেছেন?

গত বছর জুলাইতে, আমার শাশুড়িরা যেহেতু খুলনাতে থাকে তারা নিজেরা নারিকেল তৈল থেকে ভাঙ্গিয়ে খাঁটি নারিকেল তৈল তৈরি করে।তখন শাশুড়ী এর সাথে গল্প করতে করতে ভাবলাম, চারদিকে ভেজাল, খাঁটি জিনিস পাওয়া যায় না। আমি যদি খাটি নারিকেল তৈল মানুষ কে দিতে পারি সেই ভেবেই আমার ফেইসবুক প্রফাইলে মাইডে তে খাটি নারিকেল তৈল এর ছবি দিতাম।তখন এক আপু আমাকে নক করলো এবং উৎসাহ দিল।তখন থেকেই শুরুটা।

শুরুর দিকে ফ্রেন্ডস, বড় বোন এবং ফ্রেন্ড এর ফ্রেন্ড দের কাছে বিক্রি করি।এরপর আমি ফেইসবুক পেইজ খুলি।শুরুতে পেইজ এর নাম ছিল “রঙনা”। একটা প্রবলেম হয় এরপর নাম দেই “সাদ্ধীর রঙ্গনা”

আপনার উদ্যোগের পিছনের কারন কি?

আমার উদ্যোগ এর পিছনে কারন হলো আজকাল বাজারে নকল ভেজাল এবং কেমিক্যাল পন্যের ভরপুর।কোনো অর্গানিক জিনিস পাওয়া যায় না।যা শরীর, ত্বক এরজন্য ভাল।যাতে আমার জন্য ও ভাল হয় সবার জন্য ভাল হয়।আসলে এই অর্গানিক তৈল সবাই বানাতে পারে না।এর জন্য অনেক রিচার্চ ও পড়াশোনা করতে হয়।আমি নানা ধরনের বই , নিউজ, বিভিন্ন ধরনের ব্লগ সাইটে পড়াশোনা করেছি।এভাবেই শিখেছি।

আপনি কি কি সেবা নিয়ে কাজ করেন?

আমি আপাতত কাজ করছি খাঁটি নারিকেল তৈল, নিজের রেসিপি তে করা হারবাল ওয়েল, হারবাল হেয়ার প্রোটিন প্যাক যা ছেলে হোক মেয়ে হোক বাচ্চা হোক সবার চুলে ব্যাবহার করতে পারবে।যা চুলের নানা সমস্যা সমাধান দিতে পারবে।এছাড়া আমি ফেইস এর নানা প্রসাধনী নিয়ে কাজ করছি। ত্বকের ভিন্নতা ও সমস্যার এর উপর ডিপেন্ড করে ফেইসপ্যাক, হোমমেইড সাবান। এবং আজকাল বাজারে জেল এর একটা প্রচলন হয়েগেছে। যা রুপচর্চা ও চুলচর্চা তে ব্যাবহার হচ্ছে।।।আমি এখন পর্যন্ত দুই ধরনের জেল নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, ১. এলোভেরা জেল, ২, বিররুট জেল।

গতশীতে কাজ করেছি আমি হোম মেট বডি বাটার ও হোমমেট বডি ময়েশ্চারাইজার নিয়ে।যা শীতকাল এ অতিব গুরুত্বপূর্ন।

একজন নারী উদ্যোক্তার কি কি বাধার সম্মুখীন হতে হয় ?

নারী উদ্যোক্তাদের বাধার শেষ নেই, যদিও আমার পরিবার আমাকে কোন রকম বাধা দেন নি।আসলে বাধা আসে পেইজ এ নানা ধরনের উল্টা পাল্টা মেসেজ, এবং দাম নিয়ে নানা কথা বলে।আসলে আমি তখন বলি যার যেমন খরচ তার পন্য তেমন ই দাম হবে।আমি বেশিরভাগ ইগনোর করার ট্রাই করি।তাছাড়া অনলাইন এ বিজনেস করতে গেলে এমন সমস্যা হবেই।

আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?

আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো আমার সততা ও পরিশ্রম দিয়ে আমার সাদ্ধীর রঙ্গনা কে দেশ এবং দেশের বাইরে পরিচিত করে একটা ব্যান্ড হিসেবে তৈরি করতে চাই।আমি ইনশাআল্লাহ দেশের বাহিরে তিনবার প্রোডাক্ট দিয়েছি।
আমি চাই সবাই আমাকে, সাদ্ধীর রঙ্গনা এর ওনার হিসেবে চিনুক।

RedLive

Related post