বিক্রয়কর্মীদের ‘২য় ন্যাশনাল সেলস প্রফেশনাল কার্নিভ্যাল, ২০২১’ অনুষ্ঠিত

 বিক্রয়কর্মীদের ‘২য় ন্যাশনাল সেলস প্রফেশনাল কার্নিভ্যাল, ২০২১’ অনুষ্ঠিত

রেড লাইভ ডেস্কঃ

বিক্রয়কর্মীদের জন্য নিবেদিত সংগঠন ‘সেলস অ্যাম্বাসেডর অব বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ন্যাশনাল সেলস প্রফেশনাল কার্নিভ্যাল ২০২১’ ।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির অডিটরিয়ামে এ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশে দ্বিতীয় বারের মতো এ আয়োজনে উপস্থিত যারা ছিলেন, সার্পনারের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নজর ই জিলানী, ইএসপিএন এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরিদুজ্জামান (সুমন), ইএসপিএন এর ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন, মোহাম্মদ বাসু রয় চৌধুরী,মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, ই-ক্যাব এর পরিচালক সাঈদ রহমান, প্রফেসর ডক্টর ইসমত আরা, সাজ্জাদ হোসাইন, মোনেরুল ইসলাম, এম এ হানিফ, আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, রিজভী রনি, মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, মোহাম্মদ জাবেদ হাসান, শেখ আমিনুর রাহমান, মেহেদী হাসানসহ আরো অনেকে।

অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সার্পনারের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নজর ই জিলানী তিনি বলেন, আমাদের দেশের সেলস কর্মিরা কেনো একটি কম্পানির সিইও ও ডিরেক্টর পদে নিয়োজিত হতে পারছে না? কেনো শ্রীলঙ্কা ও ভারতের নাগরিকরা বাংলাদেশের ৮০% সিইও ও কম্পানির টপ পজিশন দখল করে আছে? কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, পর্যাপ্ত দক্ষতা ও ইফেক্টিভ কমিউনিকেশনের অভাবে এমনটি হয়ে যাচ্ছে। সবাই পরিশ্রম ঠিকি করছে, কিন্তু নিজের ভ্যালু এডিশনে মনোযোগী নয়, উন্নয়নে কাজ করছে না। একজন সিইও, ডিরেক্টরের কি কি গুণাবলি, দক্ষতা থাকা উচিত তা নিয়ে কাজ না করার ফল হিসেবেই এ দেশের সেলস কর্মিদের এমন দুর্দশা। এছাড়াও তিনি বলেন, সততা ও নৈতিকতার কর্মই হলো সেলস পেশা। এই নিয়ে হীনমন্যতার বা লজ্জার কিছু নেই। এটি গর্ব করার মতো পেশা৷ তিনি বলেন, তাঁর ৩৩ বছরের কর্পোরেট কর্ম জীবনে কখনো কারো নিকট মাথা নত করেননি, তবে সিনিয়রদের গুরু মেনে শ্রদ্ধা ও সম্মান করেছেন। এভাবে সেলস কর্মিদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছড়িয়ে দিয়ে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেন।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন লাক্সারি কম্পানির প্রতিষ্ঠাতা: তিনি বলেন, তিনি তার কর্ম জীবনে সেলস পেশাকে খুব সম্মান করেন, এর মাধ্যমেই কর্ম জীবন শুরু হয়। তারপরও তিনি উদ্যোক্তা হওয়ার পর, সেলস কর্মিদের আগের মতোই ভালোবাসেন। এই করোনা কালিন সময়ে, অনেক প্রতিষ্ঠান সেলস কর্মিদের ছাটাই করেছেন, বেতন কমিয়েছেন কিন্তু তিনি এইসবের ধার ধারেননি। তিনি উল্টো করোনায় আক্রান্ত কর্মিদের বেশি সহযোগিতা করে গেছেন। এছাড়াও যেকোনো বিপদে সর্বাত্মক সহযোগিতা শুধু কর্মিদেরই নয় তাদের পরিবারেরও করে থাকেন।

ইএসপিএন এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরিদুজ্জামান (সুমন), বলেন, আজকের এই মিলন মেলা আয়োজনে তিনি অনেক বড় ভূমিকা পালনের চেষ্টা করেছেন আর আজীবন করে যাবেন। অনেকেই তাকে জিজ্ঞেস করেন, কেনো তিনি সেলস এম্বাসেডর অব বাংলাদেশ এ আসেন, এটি তো সেলস কর্মিদের জন্যে, আর তিনি তো একজন উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, আমি হতে পারি একজন উদ্যোক্তা কিন্তু ছিলাম একজন সেলস কর্মি। আর প্রতিটা উদ্যোক্তাই একজন সেলস কর্মি। আর তিনিও একমত পোষণ করে বলেন, শ্রেষ্ট পেশার মধ্যে সেলস পেশাও অন্যতম। কারণ সেলস কর্মিরা কম্পানির হার্ট, তারাই কম্পানিকে সচল রাখেন।

আয়োজন সম্পর্কে সেলস অ্যাম্বাসেডর অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বেলায়েত হোসেন মামুন বলেন, বিক্রয়কর্মীদের জীবন উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং তাঁদের জন্যই নিরলস পরিশ্রম করে যাবে এই প্রতিষ্ঠান। তার সঙ্গে সহমত পোষণ করে সহপ্রতিষ্ঠাতা আকবর হোসেন খান বলেন, সেলস অ্যাম্বাসেডর অব বাংলাদেশ প্রতিটি বিক্রয়কর্মীর অভিভাবক ও বন্ধু হিসেবে কাজ করে যাবে এবং তাদের বিক্রয় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করে যাচ্ছি।

RedLive

Related post