“Zoom” আবিষ্কার সম্পর্কে যা অজানা-

 “Zoom” আবিষ্কার সম্পর্কে যা অজানা-

প্রতিদিন আমরা ঘুমোতে যাবার সময় এবং ঘুম থেকে ওঠার পরই যেই জিনিসটা সবার আগে হাতে তুলে নিই সেটা নিঃসন্দেহে মোবাইল ফোন।

আর মোবাইল হাতে নিয়েই আমরা চলে যাই কোন না কোন এপ্লিকেশনে! কেউ দিন শুরু করি মেইল সেন্ড করে, কেউবা ফেসবুকে ঢু মেরে! আজকাল সবকিছুতেই এপস! এন্ড্রয়েড, আইওএস মিলেমিশে এক যাদুর কাঠির ছোয়ায় আমাদের জীবন করে তুলেছে এপসময়! সবকিছুতেই এপস। মোবাইল পেমেন্ট থেকে শুরু করে শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা বাণিজ্য বিজ্ঞান এমনকি মহাকাশ…সবেতেই এপস এর রাজত্ব।

বৈশ্বিক বিজনেস বোদ্ধারাও বলে চলেছেন এ বাজার আরো অনেক অনেক বড় হবে! বর্তমান সময়ের স্টার্টআপ গুলোর দিকে তাকালেও তা সহজেই বুঝতে পারি আমরা! 

১০ টার ৮ টারও বেশি স্টার্ট আপ শুরু হয় এপস দিয়ে! তো আজকে কথা বলব করোনাকালীন সময় ট্রেন্ডিং এ থাকা Zoom Apps নিয়ে। 

যদিও এটি বাজারে আসে ২০১৩ সালে কিন্তু মহামারীকালীন সময়েই বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এবং সময়ের সাথে সাথে -এর চাহিদাও বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। ২০১৯ সালে যেখানে ZOOM  ব্যবহার করতো ১০ মিলিয়ন, সেখানে ২০২০ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে দাড়ায় ৩৫০ মিলিয়ন।

যদিও শুরুর গল্পটা এতো সহজ ছিল না। জুম এর প্রতিষ্ঠাতা ইউয়ান কলেজে পড়ার সময় তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখার জন্য ১০ ঘণ্টা ট্রেন জার্নির প্রয়োজন হত। এত দূরে থেকে প্রতিদিন দেখা করা তার পক্ষে সম্ভব হত না। 

তিনি সবসময় চাইতেন তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে, কাছাকাছি থাকতে। তিনি ভাবতেন এমন কিছু যদি থাকতো যার মাধ্যমে দুইজন কাছাকাছি থাকতে পারতো কিংবা দেখা করতে পারতো এটা থেকেই তিনি অনুপ্রেরণা পান। 

পরবর্তীতে মাস্টার্স করার সময় ২২ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করে ফেলেন।

তখন তিনি WebEx নামক একটি ভিডিও কনফেরেন্সিং স্টার্টআপে জয়েন করেন এবং ২০০৭ সালে Cisco System স্টার্টআপটিকে কিনে ফেলে। এতদিনে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট পদটি পেয়ে যান এবং এমন একটি প্রযুক্তি তৈরি করতে চান যার মাধ্যমে দুইজন একে অপরকে দেখে কথা বলতে পারবে তাও রিয়েল টাইমে।

Eric Yuan একটি স্মার্টফোন ফ্রেন্ডলি ভিডিও কনফেরেন্সিং আইডিয়া Cisco Management-কে পিচ করে এবং তারা আইডিয়াটি রিজেক্ট করে দেয়। পরবর্তীতে তিনি নিজেই আইডিয়াটি নিয়ে কাজ করেন এবং ২০১১ সালে Zoom Video Communications, Inc. প্রতিষ্ঠা করেন।

বর্তমান যুগে জনপ্রিয় ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্ম ZOOM তাদের সফটওয়্যার বাজারে নিয়ে আসে ২০১৩ সালে।

কিন্তু সেটি জনপ্রিয়তা পায় মহামারীকালীন সময়ে। লকডাউন শুরু হবার পর থেকে একবারের জন্যও জুম এপস টি ব্যবহার করেন নি এমন মানুষ মনে হয় খুজেও পাওয়া যাবে না!

 ভিডিও কনফারেন্স, মিটিং বা আড্ডা সব কাজেই জুমের সরব পদচারণা! শুধু ভিডিও কনফারেন্সিং এর এপস বলে যে জুম জনপ্রিয় তা নয়। হাই কোয়ালিটি, হাই স্পিডসহ চ্যাটিং, হ্যাণ্ড্রাইজিং সহ হাজারো অপশন সমৃদ্ধ জুম আসার পর থেকেই জায়গা করে নেয় ফর্মাল ওয়াল্ডে!

আর এই করোনাকালীন সময়ে যে জুমের ব্যবসা ফুলে ফেপে উঠেছে তা জুমের প্রতিষ্ঠাতা এরিক ইউয়ানের ২০২০ সালের আয় ১৭ বিলিয়নের ডলারই প্রমাণ করে।  

 বিলিনিয়ারদের মধ্যেও সেরা অবস্থানে ঠাঁই করে নেওয়া, তাও এক বছরের কম সময়ে যা জুমের মুখ্য নির্বাহী এরিক ইউয়ান করে দেখিয়েছেন। করোনা শুরু হয় ইরিকের উত্থান গল্প। জুমে তার মালিকানায় থাকা শেয়ারের মূল্যস্থীতিই তাকে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ ধনীর মর্যাদা এনে দিয়েছে।

লিখেছেন : তুহি হোসাইন

Brinty Saha

Related post