Attention : মনযোগ, মনোদৃষ্টি

 Attention : মনযোগ, মনোদৃষ্টি

ছোটোবেলায় মন দিয়ে পড়াশোনা করার কথা বাবা-মা না হলেও আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে শুনতে হয় নি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু এই মনোযোগ বা, মনোদৃষ্টি আসলে কি?

একটি মুহূর্তে কোনো কিছুর উপর মন কিংবা মস্তিষ্কের ক্রিয়াশীল হওয়াকে মনোযোগ বা, মনোদৃষ্টি বলা হয়।

মনোযোগ দু রকমের হতে পারে—

১. ইচ্ছাকৃত এবং

২. অনিচ্ছাকৃত।

ইচ্ছাকৃত মনোযোগের ক্ষেত্রে মন আন্তরিক কোনো উদ্দীপক বা, স্টিমুলাসের কারণে একটি বিষয়ের উপর দৃষ্টি নিবেশ করতে পারে।অর্থাৎ একটি বিষয় সচেতন মনের বিবেচনার সীমার মধ্যে আসতে পারে। অনিচ্ছাকৃত মনোযোগের ক্ষেত্রে কোনো উদ্দীপক তার অস্বাভাবিকতা বা, বৈপরীত্যে কিংবা নতুনত্ব দ্বারা ইন্দ্রিয়গুলির উপর এরূপ আঘাত হানতে পারে— যাতে মনের দৃষ্টি উদ্দীপকের উপর পড়তে বাঁধা বাধ্য হয়। যেমন- সাধারণভাবে যে শব্দের মধ্যে কেও কোনো একটি মুহুর্তে অবস্থান করছে, সে মুহুর্তে একটি বিকট শব্দ হলে শব্দের অস্বাভাবিকতাই তার মনকে সেদিকে আকৃষ্ট করবে।

অসংখ্য উদ্দীপক দ্বারা আমরা সর্বদাই পরিবেষ্টিত। মনুষ্যত্বের প্রাণী উদ্দীপক মাত্রতেই ক্রিয়াশীল হয়ে উঠে। কেবলমাত্র মানুষই তার নিজের স্বার্থের বিবেচনায় অসংখ্য উদ্দীপকের থেকে যে কোনো একটি বাছাই করে তার উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।

যখন ব্যক্তির উদ্দেশ্য হয় তার পঠিত গ্রন্থের কঠিন একটি দার্শনিক কথার অর্থ উদ্ধার করা, তখন শব্দ-তরঙ্গের যথেষ্ট পরিমান হ্রাস-বৃদ্ধিও ব্যক্তির মনকে আকৃষ্ট না করতে পারে। ইচ্ছেনুযায়ী মনোযোগ দানের ক্ষমতাকেই মনোবিজ্ঞানে ইচ্ছাকৃত মনোযোগ বলা হয়ে থাকে। মানুষের মন, আদিতে অন্যান্য প্রাণীর মতোই উদ্দীপক মাত্রেরই দাস ছিলো।

যেকোনো উদ্দীপক যখন তখন তার মনকে আকৃষ্ট করতে পারতো। শত শত বছরের শ্রমের অভিজ্ঞতা এবং জীবনের তাগিদে উদ্দীপকের দাস হওয়ার চেয়ে উদ্দীপককে দাস করার ইচ্ছায় মানুষ ইচ্ছামূলক ক্ষমতা নিজের মধ্যে অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষের মন এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা আজ যেমন, তার শৈশবেও তেমনই ছিলো — এমনটা ভাবা ঠিক নয়।

রেফারেন্স : দর্শনকোষ( সরদার ফজলুল করিম)

লিখেছেন: মো. শাহরিয়ার ইসলাম অর্ণব

RedLive

Related post

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।