এসইও করে র‍্যাংকিং করুন আপনার ওয়েবসাইট – ১ম পর্ব

 এসইও করে র‍্যাংকিং করুন আপনার ওয়েবসাইট – ১ম পর্ব

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনের একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনটি একটি ওয়েবসাইটকে শীর্ষে নিয়ে আসে, অর্থাৎ ‘র‍্যাংক’ করে থাকে। একটি ওয়েবসাইটকে তখনই সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টের শুরুর দিকে নিয়ে আসবে যখন সে ওয়েবসাইটটিকে সে গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে।
ধরা যাক আপনি গুগলে ‘নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য করণীয়’ লিখে সার্চ করলেন। এরপর সার্চ রেজাল্টে গুগল আপনাকে কিছু ফলাফল দেখালো। সেখানে আপনি দেখলেন সার্চ রেজাল্টের প্রথম দিকে Red Live এর ফলাফলটি প্রদর্শিত হচ্ছে।
অর্থাৎ Red Live ওয়েবসাইটের এই কন্টেন্টটি যথাযথভাবে এসইও করায় সেটি গুগল র‍্যাংকিং করেছে। এইচটিএমএল (HTML), কীওয়ার্ড, ট্যাগ, মেটা ট্যাগ ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান রাখলে এসইও হবে আরো কার্যকর।

এসইও এবং এর গুরুত্বঃ
ইংরেজী এসইও (SEO) এর পূর্ণরূপ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। ১৯৯৭ সালের গোড়ার দিকে এসইও এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তবে ২০০১ সাল সাল থেকে ধীরে ধীরে এর গুরুত্ব বাড়তে থাকে।
সহজ কথায় বলতে গেলে, গুগল বা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনে যে উপায়ে নিজের সাইটকে সবার উপরে নিয়ে আসা হয় সেটিই এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। SEO এর মাধ্যমে আপনি আপনার সাইটের লক্ষ লক্ষ কীওয়ার্ড সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমে নিয়ে আসতে পারবেন।
ব্যবহারকারীর নির্দেশ অনুযায়ী ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত লক্ষ-কোটি তথ্যের মধ্য থেকে ছেঁকে এবং বিভিন্নভাবে মূল্যায়ন করে ব্যবহারকারীর সামনে তথ্য উপস্থাপন করে সার্চ ইঞ্জিন। সেখান থেকে ব্যবহারকারী তার চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী ফলাফল বেছে নেয়।
ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যথাযথ উপায়ে এসইও করার মাধ্যমে সহজেই আপনার ওয়েবসাইটটিকে মানুষের কাছে পরিচিত করে তুলতে পারবেন। ওয়েবসাইট পরিচিত হয়ে যাওয়া মানে হলো অনেক বেশি ব্যবহারকারী ওয়েবসাইটে আসা।
এতে আপনার পণ্য বা সেবা সম্বন্ধে সবার আরো বেশি জ্ঞান লাভ এবং অনেক বেশি পরিমাণে সেগুলোর বিক্রয় বৃদ্ধি পাওয়া। বিভিন্ন ই-কমার্স ব্যবসা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিংসহ অনলাইনভিত্তিক অনেক কাজের সাফল্য নির্ভর করে এসইও এর ওপর।

❏ এসইও করার সুবিধাঃ
উচ্চ ট্র্যাফিক প্রাপ্তিঃ
ট্রাফিক বলতে বোঝায় ইউজার বা ব্যবহারকারী। এসইও এর মাধ্যমে আপনি উচ্চ ট্রাফিক পেতে পারেন। যেমন ধরুন আপনার ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যাঙ্কিং করেছে। মানে কেউ যদি আপনার ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কিত কিছু সার্চ করে তার রেজাল্টে আপনার ওয়েবসাইট প্রথম বা দ্বিতীয় অবস্থানে আসছে।

প্রায়শই দেখা যায় সার্চ করার পর বিশ্বের ৮০ শতাংশ মানুষ সর্বদা প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ফলাফলটিতে ক্লিক করেন। এক্ষেত্রে যদি আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চের প্রথম তিনটি রেজাল্টে দেখানো হয়, তখন বলা হবে যে আপনি এখান থেকে উচ্চ ট্র্যাফিক পাচ্ছেন।
ব্যবসায়ের প্রসার বৃদ্ধিঃ
আপনার ওয়েবসাইটটি যদি গুগল র‍্যাংকিংয়ে ভাল অবস্থানে থাকে তাহলে ব্যবহারকারী গুগলে সার্চ করে আপনার ওয়েবসাইটের রেজাল্টটি শুরুর দিকে দেখবে। তাতে তারা স্বভাবতই ক্লিক করবে, পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তথ্য জানবে এবং তথ্য বা সেবাটি নিতে অগ্রসর হবে। এভাবে আপনার ওয়েবসাইট হতে সেবা গ্রহণ বা কেনাকাটার মাধ্যনে আপনার ব্যবসায়েরও প্রসার ঘটবে।


ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ডিং লাভঃ
ধরা যাক, আপনার ওয়েবসাইটটি ভাল অবস্থানে রয়েছে। প্রতিদিন অগণিত মানুষ ওয়েবসাইটটি দেখছেন, সেখান থেকে সেবা নিচ্ছেন। এতে প্রতিনিয়ত আপনার র‍্যাংকিং বাড়বে এবং আপনার ওয়েবসাইটটিও (ব্যবসা) উপরের দিকে উঠবে। মানুষের কাছে আপনার সেবা বা পণ্যটির গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে। ব্যবসায়ে প্রসার ঘটবে। আর এতে ব্র্যান্ডিংও হবে।
কম খরচে ট্র্যাফিকঃ
আগেই বলেছি যে ট্র্যাফিক বলতে ব্যবহারকারী বোঝানো হচ্ছে। এসইও করার ফলে আপনি কম খরচেই ট্র‍্যাফিক পেতে পারেন। এর অর্থ হলো যদি আপনি নিজের সর্বোচ্চ অবস্থানে ভাল মূল্য পান, তবে আপনাকে এতে কোনো প্রকার খরচ করতে হবে না। গুগলের ফেসবুক বিপণন পদ্ধতি এবং যথাযথ এসইও এবং এ সংক্রান্ত ট্যাগ, মেটা ট্যাগ, এইচটিএমএল (HTML) এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে কম খরচেই পাবেন ট্র‍্যাফিক।
এছাড়াও যথাযথ এসইও আপনার ব্যবসায়ে বিনিয়োগের থেকে প্রাপ্তিও আসবে। মোদ্দা কথা, এ সকল সুবিধা আপনি পাবেন কেবল যথোপযুক্ত এসইও ব্যবহারের মাধ্যমে।

লিখেছেনঃ শাহনেওয়াজ আহমদ

RedLive

Related post