অধরা হ্যাপি “বাঙালিয়ানা” এগিয়ে চলা

 অধরা হ্যাপি “বাঙালিয়ানা” এগিয়ে চলা

প্রতিটি মানুষই চায় সে যেন আত্মনির্ভশীল হতে পারে।কেননা সাবলম্বী হয়ে বেঁচে থাকার স্বার্থকতাই আলাদা। যে কোন কাজ করতে গেলে প্রতিবন্ধকতা থাকবেই। কিন্তু সেই প্রতিবন্ধকতাকে যে জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে সেই হবে একজন সফল উদ্যোক্তা। এমনি একজন আত্মনির্ভরশীল নারীর উদ্যোক্তা অধরা হ্যাপি’র কথা তুলে ধরেছেন, টাঙ্গাইল জেলার প্রতিনিধি রোয়েনা রহমান।

তিনি তিতুমীর কলেজ থেকে অনার্স এবং মাষ্টার্স কমপ্লিট করেছেন। এবং ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং থেকে মাষ্টার্স ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছিলেন।তার সময় সবসময়ই স্বপ্ন ছিলো ব্যাংকে জব করবো।নিজের পায়ে দাড়াবো।নিজের ও দেশের জন্য কিছু করবে।কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ও পারিবারিক পারিপার্শিকতার কারনে তা আর করা হয়ে উঠেনি। তিনি ঘড়ে বসে থাকলেও সবসময় তার মাথায় ঘুরপাক খেতো তাকে কিছু করতে হবে।সেই ভাবনা থেকে যাত্রা শুরু হয়‌ “বাঙালিয়ানা”

কিভাবে আপনার উদ্যোগটির যাত্রা শুরু?

করনাকালীন সময়ে যখন সবকিছু নিস্তঃব্দ হয়ে যায়সবার সাথে সাথে আমাদের পরিবারেও নেমে আসে ক্রাইসিস। ছেলে-মেয়ের স্কুলের বেতন , ঘড়ভাড়া , বাজার আয় কোথার থেকে আসবে সবকিছু নিয়ে খুব টেনশনে পরে যাই। জুন মাসে আমার ছোটবোনের মাধ্যমে উইতে এড হই। তখন দেখি অনেক নারীদের সফল হওয়ার গল্প। অনেকে সফল উদ্যোক্তা হয়েছে। তাদের দেখে আমারও কিছু একটা করার ইচ্ছে হয়। আমার হাজবেন্ট এর যেহেতু ঘী মধুর দোকান ছিলো তাই আমি তা নিয়েই শুরু করে দেই। আমার প্রবল ইচ্ছা ও পরিশ্রমের ফলে ঘী মধু সেলকরে অর্ধলাখপতি হয়েছি। শুধু তাই নয় নতুন নতুন অনেক আপুদের সাথে পরিচয় হয়েছে। আপুদের অনেক ভালোবাসাও পেয়েছি। মেন্টর হিসেবে পেয়েছি আমাদের সকলের প্রিয় রাজিব স্যারকে। সবার ভালোবাসায় ও সহযোগীতায় আজ আমি সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পেরেছি।

আপনি কি কি পন্য নিয়ে কাজ করছেন?

আমি কাজ করি আমার নিজ তত্ত্বাবধানে তৈরি খাঁটি ঘী নিয়ে। ঘী আমার সিগনেচার আইটেম। তবে উদ্যোক্তা জীবনে সব চেয়ে বড় পাওয়া দু’জন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছি । যারা আমাকে খাঁটি পন্যের সার্ভিস দিয়ে থাকে।এবং আমি আমার কাষ্টমারদের খাঁটি মানের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকি।

একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কি কোন বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে কি?

আমরা যেহেতু নারী তাই প্রায় কাজেই আমাদের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। কেননা নারীরা পুরুষদের মতো এতো সহজেই সব কিছু করতে পারে না। প্রথম প্রথম আমার স্বামীই আমাকে বারন করতো এই কাজ করার দরকার নেই। এই সামান্য আয় দিয়ে কি হবে। এসব বাদ দাও। কিন্তু তার সাথে কোন প্রতিউত্তরে না যেয়ে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি আমার সর্বচ্চো দিয়ে। আমি থেমে যাই নি প্রতিদিনই বুঝিয়েছি। আলহাম্দুলিল্লাহ এখন তিনিই আমাকে সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট করে।ঘী এনে দেওয়া থেকে শুরু করে এগুলো মাপা প্যাকেটজাত করা। অনেক কিছুতেই আমাকে সাহায্য করে।ফ্যামিলি থেকে এতো বড় সাপোর্ট না পেলে হয়তোবা এভাবো সামনে এগোনো সম্ভব হতো না।

আপনার উদ্যোগটি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা হলো আমি আমার প্রডাক্টকে ব্র্যান্ড হিসেবে দেখতে চাই।আমি যেন অনেককে আত্বকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারি। দেশের বেকারত্ব কিছুটা হলেও যেন লাঘব করতে পারি।অবহেলিতো নারীদের জন্য কিছুটা সম্ভব হলেও যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারি।নিজেকে যেনো সবার কাছে অনুপ্রেরনাময়ী হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।

RedLive

Related post