কাঠের গয়নায় হোক দেশীয় কিংবা পশ্চিমা সাজ

 কাঠের গয়নায় হোক দেশীয় কিংবা পশ্চিমা সাজ

সমসাময়িক ফ্যাশন দুনিয়ার বর্তমান আকর্ষণ হলো নানা ধরনের বাহারী  কাঠের গয়না। যুগের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে পোশাকে এসেছে যেমন ভিন্নতা;তেমন গয়নায়ও এসেছে পরিবর্তন। দেশীয় কিংবা পশ্চিমা যেকোনো অনুষঙ্গেই বর্তমানে কাঠের বেইজের তৈরী এবং বাহারী নকশা করা নানা ধরনের গয়না জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

একসময় সোনা-রূপার গয়নার বেশ প্রচলন ছিলো,পরবর্তীতে স্বর্ণের পরিবর্তে ইমিটেশন গয়নার প্রচলন শুরু হলো। কারণ  সোনা-রূপার গয়না বেশ দামী এবং দামের কারণে সকল স্তরের মানুষের জন্য উপযোগী নয়। সময়ের সাথে সাথে  ইমিটেশনের পাশাপাশি বেড়েছে কাঠের গয়নায় সাজের জনপ্রিয়তা। নানা আকৃতির কাঠের বেইজের উপর নানা নকশা এঁকে,তার সাথে বাহারী পুঁতি,কড়ি ইত্যাদি জুড়ে বানানো হচ্ছে নানা গয়না।

সেই নকশায় ফুটে ওঠে  লোকগাঁথা,গ্রামীণ জীবনের সুখ-দুঃখ,বিখ্যাত চরিত্র,ফুল,বইয়ের বিখ্যাত সব উক্তি,কার্টুন চরিত্র কিংবা গানের কোনো অংশ। এছাড়া কখনো কখনো  কাঠের বা মেটাল চার্ম যুক্ত করে গয়নায় আনা হয় বাস্তবিক রূপ। এছাড়া পাটের দড়ি,রঙিন সুতা,পমপম ইত্যাদি জুড়েও বাড়ানো হয় গয়নার সৌন্দর্য্য।

অনেকেই মনে করেন যে,কাঠের গয়না শুধুমাত্র ঐতিহ্যবাহী উৎসব কিংবা দেশীয় সাজের সঙ্গে পরিধেয়। কিন্তু ধারণাটি ভুল। কাঠের পুঁতি,কাঠের ছোট্ট বেইজ এবং কড়ির গয়না পশ্চিমা পোশাকের সাথেও সহজে মানিয়ে যায়। প্রতিদিনের ব্যবহার্য পোশাক যেমনঃ জিনস,টপ,সেলোয়ার ইত্যাদির সাথে সাধারণ ডিজাইনের গয়না উপযুক্ত। আবার জাঁকজমক অনুষ্ঠানে একটু বড় এবং ভারী ধাঁচের গয়না বেশ মানানসই।

এক্ষেত্রে গয়না নির্বাচনের বিষয়ে লক্ষ্য করা হয়,কি রঙের পোশাক পরিধান করা হয়েছে তার উপরে।  এক রঙা কিংবা হালকা রঙের পোশাকের সাথে রঙ-বেরঙের এক লহরী মালা,ছোট্ট দুল বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে যায়। আর পোশাকে বেশি রঙের আধিক্য থাকলে,হালকা রঙা গয়না নির্বাচন করাই উপযুক্ত। এতে ফ্যাশনের পাশাপাশি মনও ভালো থাকে। এছাড়া কাঠের গয়নার সাথে মিলিয়ে নানা ধরনের কাঠের চুড়ি,খোঁপার কাটাও দৈনন্দিন জীবনে বেশ ব্যবহার উপযোগী।

কাঠের গয়না হালকা,দামে সস্তা এবং প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য বেশ উপযোগী। যেকোনো বয়সের মানুষ এই গয়না পরতে পারে। প্রতিদিন ব্যবহারের পর গয়নাগুলোর একটু যত্নআত্তি করলেই অনেকদিন স্থায়ী হয় কাঠের গয়না। বৃষ্টিতে এবং ঘামে ভিজে গয়না নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিংবা রং উঠে যেতে পারে। তাই গয়না ব্যবহারের অবশ্যই সেটি ভালোভাবে শুকিয়ে রাখতে হবে।

বিভিন্ন অনলাইন পেইজ,গাউসিয়া মার্কেট,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি স্থানে নানা ধরনের কাঠের ও পুঁতির গয়না পাওয়া যায়।  বিভিন্ন ধরনের কাঠের গয়নার মূল্য ২০০-১০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।গয়না তৈরীতে ভালো মানের কাঠ,কড়ি এবং রং ব্যবহারে মূল্য কিছুটা বাড়তি হতে পারে। তবে টুকটাক হাতের কাজ জানা থাকলে,নিজে ঘরে বসেই বানিয়ে নিতে পারেন নানা ধরনের পছন্দসই গয়না। 

লিখেছেনঃ অংকিতা দাশ

RedLive

Related post