জয়িতা দিয়ে জয়ী একজন শিক্ষক ও উদ্যোক্তা শামীমা নাছরিন

 জয়িতা দিয়ে জয়ী একজন শিক্ষক ও উদ্যোক্তা শামীমা নাছরিন

বর্তমানে প্রায় সবকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় আমরা একসাথে অনেক কিছু করতে পারি।অনলাইন অফলাইন দুই ভাবেই নিজেদের মেলে ধরতে পারি।ঘরে বসেই ক্রয়-বিক্রয় সম্ভব।যার ধরুন শুধু ইচ্ছা,চেষ্টা, মেধা দিয়েই যে কেউই ব্যাবসায় করতে পারবে।অনেকেই নিজের চাকুরির পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ের উৎস হিসেবে কিংবা শখের বশেও অনলাইনে বিজনেস করে হয়ে উঠছেন সফল উদ্যোক্তা। এমনই একজন হচ্ছেন শামীমা নাছরিন,যিনি কিনা শিক্ষকতার পাশাপাশি অনলাইন বিজনেস করছেন।আজ জানব তার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প ও তার উদ্যোগ ” জয়িতা” সম্পর্কে।

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার প্রতিনিধি রোয়েনা রহমান

আপনার সম্পর্কে জানতে চাই?

আমি শামীমা নাছরিন। কুমিল্লা জেলার, মনোহরগঞ্জ উপজেলার , ভোগই গ্রাম থেকে কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক।

শিক্ষক হয়েও উদ্যোক্তা হওয়া কিভাবে?

পেশায় একজন শিক্ষক হয়েও আমি অনলাইন বিজনেস করছি। তার কারন,,আমি কাজ করতে ভালোবাসি।নিজেকে আপডেট রাখতে পছন্দ করি।গ্রামে থেকেও যে নিজের ইচ্ছে, চেষ্টা, পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেক কিছু করা যায়,সেটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।

উদ্যোক্তা হওয়ার শুরুটা কখন বা কিভাবে?

করোনার শুরুতে আমার বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। তারপর বন্দি একটা জীবন পার করছিলাম।এতে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি।তারপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের এক তারিখ আমার ছোট বোনদের সহায়তায় আমার জয়িতার যাত্রা শুরু।জয়িতা আমার অনলাইন পেইজের নাম।

সেই থেকে শুরু। তবে উদ্যোগ শুরু করার আগে আমি ই কমার্সের বিষয়ে তেমন কিছু জানতামনা।আগস্ট মাস থেকে আমি উই গ্রুপে জয়েন করেছিলাম।প্রায় একমাস সময় দিয়ে অনলাইন বিজনেসের খুটিনাটি বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করেছি।এখনও শিখছি।

কি কি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছেন?

আমি মেয়েদের শাড়ী, থ্রিপিচসহ সকল আইটেম, বেবিড্রেস, বেডশিট ও খাদি পাঞ্জাবি নিয়ে কাজ করছি। আমি খাদি পাঞ্জাবিতে হ্যান্ডপেইন্ট করে আলহামদুলিল্লাহ অনেক সাড়া পেয়েছি।

উদ্যোক্তা হতে গিয়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে কিনা এবং সবচেয়ে বেশি কার সাপোর্ট পেয়েছেন?

আমার প্রথম অনলাইন কাস্টোমার আমার বাবা।আলহামদুলিল্লাহ,,, এভাবেই পরিবারের সকলের সহযোগীতায় আমার বর্তমান সেল আপডেট প্রায় তিন লক্ষ টাকা। আমার উদ্যোগের সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে পন্য কুরিয়ার করা।আমার গ্রাম থেকে কুরিয়ার অফিসে অনেক দুরে।আমার অনেক কষ্ট হয় এবং খরচও বেশি হয়।পন্য ডেলিভারী থেকে শুরু করে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে আমার হাজবেন্ড। হোম ডেলিভারী গুলো সে নিজে গিয়ে দিয়ে আসে।সেজন্য তার প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

আমার স্বপ্ন দেশীয় পন্যের বিস্তারে আরো অনেক কাজ করা।আমার জয়িতাকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, যেখানে কিছু অসহায় নারী কাজ করে নিজের পরিচয় তৈরী করতে পারে।মাথা উঁচু করে সমাজে বাঁচতে পারে। সবাই দোয়া করবেন।

RedLive

Related post