ফ্রিল্যান্সিং এ কোন স্কিলটা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগে?

 ফ্রিল্যান্সিং এ কোন স্কিলটা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগে?

পর্ব ৫

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন স্কিলটার কাজ বেশী? এটা খুব কমন একটা প্রশ্ন। অনেক বার আমাকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। আমি কোন কাজকেই কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না। আমার কাছে প্রতিটা কাজের মূল্য অপরিসীম। 

তবুও আমি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বলব, একটা বিশেষ স্কিল যদি আপনার থাকে তাহলে আপনাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। হ্যাঁ আপনি ঠিকই ধরেছেন, সেই বিশেষ স্কিলটা হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং। এই একটা স্কিল দিয়ে আপনি কতভাবে কাজে লাগাতে পারবেন তা চিন্তাও করতে পারবেন না।

ধরুন আপনার একটা ওয়েবসাইট আছে। ওয়েবসাইট থাকলেইতো হবে না, সেটাকে র‍্যাঙ্ক করাতে হবে। র‍্যাঙ্ক করাতে হলে যে কাজটি সবার আগে করাতে হয় তা হলো এসইও। আর এসইও এর প্রধান শর্ত হলো সাইটের কনটেন্টকে আগে নিয়ে আসতে হবে। গুগল মামা নিজেই বলেন সাইটের র‍্যাঙ্কিং এর জন্য কনটেন্ট হলো কিং। যার কনটেন্ট যত ভালো, যত ভ্যালুয়েবল তার সাইটের মান তত ভালো এবং র‍্যাঙ্কিং এ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। 

তাহলে কী বুঝলেন? এসইও জানতে হলে কনটেন্ট রাইটিং পারতে হবে।

এবার আসুন ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে। আপনি ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান। কারণ বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক চাহিদা। সবাই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখছেন। সেখানে প্রথম কী কাজটা জানতে হবে? কনটেন্ট তৈরি করা। হলো তো! এখানেও কনটেন্ট রাইটিং এর স্কিলটা লাগছেই। 

ওহ, আপনার এত সময় নাই। আপনি অন্য কিছুর পাশাপাশি প্যাসিভ ইনকাম করতে চাচ্ছেন। প্যাসিভ ইনকাম মানে হচ্ছে একটা কিছু থেকে সবসময় আয় করার ব্যবস্থা। বাস্তব জীবনে যেমন আপনার একটা বিল্ডিং আছে যেখান থেকে প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ কিছু ইনকাম আসে। অর্থাৎ আপনার একবার ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে সারাজীবন আয় করা। তেমনি ভার্চুয়াল লাইফে এমন কিছু করা। আমরা ভার্চুয়াল জগতে প্যাসিভ ইনকাম বলতে সাধারনত এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংকে বুঝি। 

আপনি অ্যাাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন। যার জন্য আপনাকে একটা ওয়েবসাইট বানাতে হবে, তাকে র‍্যাঙ্ক করাতে হবে। আর ওয়েবসাইটের জন্য আপনাকে অনেক অনেক আর্টিকেল লিখাতে হবে। এই আর্টিকেল্গুলো লিখাতে অনেক টাকা বাজেট রাখতে হবে। অথচ আপনি নিজেই যদি আর্টিকেলটা লিখতে পারেন তাহলে আপনার সাইটের লেখার জন্য বড় বাজেটটা লাগছে না। 

আপনি ইমেইল মার্কেটার হতে চান। সেখানেও আপনি কনটেন্ট রাইটিং করতে পারলে আপনার ডিমান্ড দ্বিগুন হয়ে যাবে। আপনি শুধু টেমপ্লেট তৈরি নয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও কাজ করতে পারছেন।

একটা স্কিল কিভাবে হাজারো কাজের সাথে জড়িত তা নিশ্চয়ই জেনে গেছেন।

এছাড়াও আরো অনেক রকমের রাইটিং এর কাজ আছে। যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন। যা পরবর্তী পর্বে আলোচনা করবো।

লিখেছেন : ফ্রিল্যান্সার সুলতানা পারভিন

RedLive

Related post