উই আমাকে দিয়েছে স্বপ্নের সিঁড়ি-উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফেরদৌস

 উই আমাকে দিয়েছে স্বপ্নের সিঁড়ি-উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফেরদৌস

উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফেরদৌস পেশায় একজন শিক্ষক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানায় মেয়ে। তবে বর্তমানে ঢাকার মিরপুর কাজীপাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন । ঢাকায় পড়ালেখা শুরু করে গেন্ডারিয়া মনিজা রহমান গার্লস স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং সরকারি কবি নজরুল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ মাস্টার্স করেন। অতঃপর ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের একটি প্রজেক্টের ট্রেনিং ডিভিশনে ট্রেনার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত হোন। বিভিন্ন প্রোগ্রামের প্রধান হিসেবেও কাজ করেছেন। সেখান থেকে শিক্ষকতা পেশায় পথ চলা।

ইডেনের এক্স প্রিন্সিপাল ডক্টর রৌশনারা রশীদ, ডঃ জামিলুর রেজা চৌধুরী, ডঃ জাফর ইকবাল স্যার- এর সাথে বায়োস নামক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ক গবেষক হিসেবে কাজ করেছিলেন। বাংলাদেশ গণিত সমিতির প্রশিক্ষকও ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করেন। তবে বর্তমানে তিনি সফল শিক্ষিকার পাশাপাশি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা।আজ আমরা তুলে ধরেছি তার এই সফলতার পিছনের গল্প। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার প্রতিনিধি রোয়েনা রহমান

গত বছর করোনা কালীন লকডাউন এর শুরুতে কিছু চাকুরিচ্যুত ও বেকার অসহায়দের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ১০জন মহিলাসহ যশোরের নাজমা বেগম নামে তার এক আপুর মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নকশি কাঁথা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। আজ তার প্রতিষ্ঠানে ১৮০ জন কর্মী কাজ করছে।

জান্নাতুল ফেরদৌস কাছ থেকে জানা যায়, তার সফলতার পিছনে রয়েছে উই এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা এবং রাজীব আহমেদ স্যারের অনুপ্রেরণা।

তিনি আরো জানান, আজকের সফলতার এই পর্যন্ত আসার সবচেয়ে বড় হাত হলো Women and e-commerce forum (WE) WE এর প্রতিটি মাস্টার ক্লাস, ওয়ার্কশপ , উই কালার ফেস্ট ২০২০ অংশগ্রহণ সর্বোপরি, নাসিমা আক্তার নিশা ও কবীর সাকিব এর অনুপ্রেরণায় আজ তার প্রতিষ্ঠান “সুতা কথন” একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে।

তিনি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নকশি কাঁথা এবং বাংলার ঐতিহ্য ধারা বহন করতে তাঁত শিল্প নিয়ে কাজ করছেন। বর্তমানে তার পণ্য ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকায়সহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে।

তিনি ২০০৪-২০১৮ পর্যন্ত গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে সহায়তা করেছেন। যাদের স্কুল কলেজের বেতন দেওয়ার সক্ষমতা ছিল না, তাদেরকে বাড়ি ভাড়া করে নিজ উদ্যোগে পড়াশোনা করিয়ে ঢাকা মর্ডান কলেজ-এর নামে তাদের এস এস সি ও আগারগাঁও মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন । আলহামদুলিল্লাহ আপাতত নয়জন এতিম শিশু ও চারজন গরীব মেধাবী স্টুডেন্টকে সহায়তা করার চেষ্টা করছেন তিনি।

তিনি বলেন, আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো বিধবা , স্বামী পরিত্যাক্তা, অসহায় ও বেকার নারীদের সামাজিক ও আর্থিক ভাবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে , পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসন করা। তাছাড়া উদ্যোক্তাদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার পাশাপাশি মানবিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে তোলার একটি প্রয়াস বহুদিনের । এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে চান।

RedLive

Related post

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।