চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা, নিজেই এক্সপোর্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন লুনা আফরোজা

 চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা, নিজেই এক্সপোর্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন লুনা আফরোজা

কিছুদিন আগেই একটা সার্ভে ফলাফলে দেখি আমাদের দেশের নতুন অনার্স, মাস্টার্স শেষ করা তরুন-তরুনীরা বেকারত্বের হার।সবার প্রথম পছন্দ চাকরি।যার ফলে বেকারত্বের বেড়েই চলেছে।সেখানে হাতে নগন্য সংখ্যকই উদ্যোক্তা হচ্ছেন।নিজেই গড়ে তুলছেন ব্যাবসায়।আর অনেকেই নিজের স্বাধীনতায় ও আত্মনির্ভরশীলতায় গড়ে তুলছেন ব্যাবসায়। আর উই এর মাধ্যমে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন আরো অনেক নারীরা। এমনই একজন হচ্ছেন লুনা আফরোজা। যিনি কিনা চাকরি ছেড়ে হয়েছেন উদ্যোক্তা।তিনি বেত,বাশ, হোগলা পাতা,তালপাতা,খেজুর পাতা দিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বাস্কেট দিয়ে শুরু করেছেন তার উদ্যোগ “Craft and creation” আসুন আজ জানব লুনা আফরোজা ও তার উদ্যোগ নিয়ে।

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মিরপুরের প্রতিনিধি জান্নাতুল ফেরদৌস

আপনার সম্পর্কে জানতে চাই?

আমি লুনা আফরোজা।ম্যানেজমেন্ট এ মাস্টার্স করেছি।জব করেছি একটা চার্টাড একাউন্টেড ফার্মে কিছু দিন অডিট এক্সিকিউটিভ হিসাবে,এরপর একটা অরিয়েন্টেড কোম্পানিতে জব করি ৭ বছর একাউন্ট অফিসার পদে।নিজেই কিছু করার প্রবল ইচ্ছে অনেক আগে থেকেই ছিল

উদ্যোক্তা হওয়ার শুরু টা কিভাবে?

বেত,বাশ, হোগলা পাতা,তালপাতা,খেজুর পাতা দিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বাস্কেট এক্সপোর্ট করা ফার্ম থেকেই শিখি।ইচ্ছে ছিল নিজেই এক্সপোর্ট করার।জব ছেড়ে দেই।তখন উই এর সাথে পরিচয় আমার ছোট বোন আর কাজিন এর মাধ্যমে। এরপর শুরু করি পণ্যের প্রচার।

আপনি কি কি পন্য নিয়ে কাজ করছেন?

আমি বেত এর হোম ডেকোর সাথে আছে পাতার প্রোডাক্ট, শতরঞ্জি এসব নিয়ে কাজ করছি।

উদ্যোক্তা হওয়ার পথে কোনো বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা ও সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট কার থেকে পেয়েছেন?

আলহামদুলিল্লাহ তেমন কোন বাধার সম্মুখীন হই নি।যদিও দেশে নারীদের ব্যাবসায় করার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।আমার তেমন কোনো বাধার সম্মুখীন হইনি।তবে আমার আম্মুর তেমন পছন্দ না এই ব্যাপারে।ছোট ভাই,বোন এর অনেক সাপোর্ট পেয়েছি।আমার উদ্যোগ এর কিছু কাজ আমার ভাই বোন, ভাতিজি করে দেয়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

বেতের আসবাবপত্র যেহেতু সৌখিন মানুষ ই পছন্দ করে।তাই ইচ্ছে আছে আমাদের ঐতিহ্য বাচিয়ে রাখা,ঘরে ঘরে পৌছে দেয়া অন্তত একটা প্রোডাক্ট। আমি চাই অন্য এক উচ্চতায় নিজের পরিচয় তুলে ধরতে।আমার আশে পাশে অনেক অসহায় মানুষ। এদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে কাজ এর ব্যাবস্থা করতে।এতে বহু লোকের কর্ম সংস্থানের সুযোগ হবে।আর সবচেয়ে বড় স্বপ্ন এক্সপোর্ট করা।

Kazi Naima Ferdousi

Related post

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।