বেবিফুড নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন টাংগাইলের মেয়ে উদ্যোক্তা সোমাইয়া জেবিন।

 বেবিফুড নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন টাংগাইলের মেয়ে উদ্যোক্তা সোমাইয়া জেবিন।

শিশুদের খাবার নিয়ে বাবা-মা দের চিন্তা সবসময় থাকে।বাজারে পাওয়া খাবার গুলো নিয়ে সবসময় চিন্তা থাকেই।খাবার তৈরির পদ্ধতি ও মান নিয়ে।যদিও সেসব বেবিফুড বিএসটিআই ও আইএসও সনদ প্রাপ্ত।তবু আমাদের দেশের মানুষের হোমমেড যেকোনো কিছুতেই আস্থা বেশি।এমন কিছু নিয়েই মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস এর প্রতিদান দিয়ে কাজ করছেন সোমাইয়া জেবিন।তিনি কাজ করছেন বেবিফুড নিয়ে।আজ জানব সোমাইয়া জেবিন ও তার উদ্যোগ “Jabin’s Emporium “ নিয়ে।

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকা মিরপুরের প্রতিনিধি জান্নাতুল ফেরদৌস

আপনার সম্পর্কে জানতে চাই?

আমি সোমাইয়া জেবিন। ইডেন মহিলা কলেজ থেকে অনার্স করেছি সমাজকর্ম বিভাগে এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করেছি। টাংগাইলের মেয়ে আমি, কিশোরগঞ্জের বউ। বর্তমানে শ্বশুড় বাড়ি মিরপুর -১ এ থাকি। হাসব্যান্ড ব্যবসা করে আর আমার দুটি মেয়ে আছে।

আপনার উদ্যোক্তা হওয়ার শুরু টা কিভাবে?

আমার মাস্টার্স পাশের পর আমি দেশের স্বনামধন্য কোম্পানি ওয়ালটনে চাকুরী হয়। ২ বছরের উপরে চাকুরী করি। এরপর বড় মেয়ে হওয়ার পর চাকুরীটি ছেড়ে দেই। যানজটের শহরে প্রাইভেট চাকুরী করা আর হয়ে উঠে না।এরপর উই গ্রুপে জয়েন করি এবং শত শত উদ্যোক্তাদের অদম্য ছুটে চলা দেখে অনুপ্রাণিত হই এবং নিজেও কিছু করার চিন্তা করি। কিন্তু কি নিয়ে কাজ করবো সেটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে আমার মেয়েকে আমার নিজের হাতের তৈরি হোমমেইড বেবি সেরেলাক খাওয়ানোর সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম আমি এটা নিয়েই কাজ করবো। কেননা ভেজালের ভীড়ে বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও প্রিজারভেটিভ মুক্ত খাবারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।আর এই চিন্তা থেকেই হোমমেইড বেবি সেরেলাক নিয়ে কাজ শুরু করি।

আপনি কি কি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছেন?

আমি বেবীফুড ও কাস্টমাইজড কেক, বক্সকেক নিয়ে কাজ করছি। হোমমেইড বেবি সেরেলাক আমার সিগনেচার পণ্য। বেবীফুডের মধ্যে আরোও আছে,, রেডি খিচুড়ি মিক্স রেডি ফিরনি মিক্স মিক্সড বাদাম গুড়া খেজুরের চিনি।

উদ্যোক্তা হতে গিয়ে বাঁধা কোনো বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা?

তেমন কোন বাঁধার সম্মুখীন হই নি। তবে আমি যখন উদ্যোগ শুরু করি তখন আমি ৮ মাসের প্রেগন্যান্ট ছিলাম এবং তারও আগে থেকেই আমি আমার পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং তৈরির কাজ শুরু করি উই গ্রুপে। তাই ঐ সময়টাতে আমার খুব চিন্তা হতো আমি বেবিটা হওয়ার পর সমানতালে কাজ করে যেতে পারবো কিনা,, ইনশাআল্লাহ আমি পেরেছি। বেবী হওয়ার আগেররাতেও রাত ৩ টা পর্যন্ত মোবাইলে সময় দিয়েছি, পরের দিন সকাল ৮.৩০ টায় নরমাল ডেলিভারিতে আমার ২য় মেয়ে জন্ম নেয়। আমাকে বাবু সহ সকাল ১০ টায় বেডে দেয়া হয় এবং আমি সকাল ১০.৩০ টার দিকে উইতে পোস্ট লিখি নিজ হাতে এমনকি হসপিটালের বেডে বসে আমি ৩ কেজি হোমমেইড বেবি সেরেলাকের অর্ডার কনফার্ম করি। পারিবারিক ভাবে কোন বাঁধার সম্মুখীন হয় নি কখনও বরং আমার পরিবারের সবাই আমার কাজে সহযোগিতা করে। আমার হাসব্যান্ডের এবং আমার শ্বশুরের সাপোর্ট পেয়েছি সমানতালে।

আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

আমার টোটাল সেল বর্তমানে ৩ লাখের কাছাকাছি। আমার টোটাল অর্ডার আজ পর্যন্ত ৫০৮ টি। রিপিট কাস্টমার ৮৯ জন। আমার বেবীফুড দেশের ৪০ টি জেলায় পৌঁছে গিয়েছে। বিজনেস নিয়ে আমার সামনের পরিকল্পনা হলো দেশের ৬৪ টি জেলায় আমার বেবীফুড ছড়িয়ে দেয়া এবং আমার কেককে একটা ব্র্যান্ডে পরিণত করা। আর আমার বেবী ফুডের জন্য বিএসটিআই এর অনুমোদন নেয়া।

RedLive

Related post

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।