মনের সাহস আর লড়ে যাওয়ার শক্তিই একজন উদ‍্যোক্তার মূল অস্ত্র-উদ্যোক্তা কোহিনুর বেগম

 মনের সাহস আর লড়ে যাওয়ার শক্তিই একজন উদ‍্যোক্তার মূল অস্ত্র-উদ্যোক্তা কোহিনুর বেগম

উদ্যোক্তা কোহিনুর বেগম পৈত্রিক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া।তবে তার বাবার ব্যবসায়ীক সূত্রে ছোট থেকে বড় হওয়া পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর আলো বাতাসে।বর্তমানে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী পরিবারসহ বসবাস করছেন।কোহিনুর বেগমের ছোট বেলা থেকেই কিছু না কিছু শিখার এবং করা চেষ্টা ছিল। ঠিক সেভাবেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন। এবং নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে গড়ে তুলেছেন দুইটি প্রতিষ্ঠান,Rupchaya boutiques Training Centre এবং Kohinoor’s kitchen

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার প্রতিনিধি রোয়েনা রহমান।

আপনার উদ্যোগটি কিভাবে শুরু এবং এর উদ্যোগটি নেওয়ার পিছনের কারন কি?

আমার যখন বিয়ে হয় তখন আমার পড়াশোনা কমপ্লিট করা সম্ভব হয়নি। তাঁর পর ও নিজের মধ্যে কিছুটা একটা করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আমার বিয়ের আগেই আমি দর্জি বিজ্ঞান কলেজ থেকে টেলারিং শিখেছিলাম । আর একটা এনজিওর থেকে শিখেছিলাম হাতের কাজ, কাগজের ফুল, কাপড়ের ফুল বিভিন্ন রকমের আইটেম। আমার জার্নিটা শুরু হয় ২০০০ সাল থেকে বিয়ের পর আমি বিভিন্ন রকম রান্নার আইটেম পার্লারের কোর্স গুলো করে ফেলি। তারপর থেকে শ্বশুরবাড়িতে একটা রুমে শুরু করি কাজ শেখানো। রান্না ও পার্লারের কাজ করি । এইভাবে আমার উদ্যোক্তা পথ চলা। এখন পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছি।

আপনি কি কি পণ্য নিয়ে কাজ করছেন?

আমি দেশিপণ্য , ড্রেস, বিছানার চাদর ,শাড়ি নিয়ে কাজ করছি। যেমন ব্লকের-ড্রেস,শাড়ি ,বিছানার, চাদর, গায়ের সাল।বাটিকের-ড্রেস ,শাড়ি ,বিছানার চাদর।হাতের কাজের-ড্রেস ,শাড়ি ,বিছানার চাদর ও গায়ের সাল।তাঁতের শাড়ি ও জামদানি শাড়ি নিয়ে কাজ করছি।

তাছাড়া,হোম ডেলিভারি খাবার আইটেম এবং ফ্রজেন খাবার আইটেম। হোমমেড খাবার বলতে ফাস্টফুড ,চাইনিজ, কনফেকশনারী ও বিভিন্ন রকমের পেস্টি কেকের আইটেম নিয়ে কাজ করছি‌ ।

একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কখনও কোন ধরনের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে কি?

আসলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এটা মেয়েদের জন্য একটু শক্ত ও কঠিন ছিল ।বিশেষ করে আমাদের বেলায়। এখন তো মেয়েরা অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। আমাদের আগে হয়তো আরও কঠিন ছিল। যাইহোক কাজ করতে গেলে বাঁধা তো আসবেই ।সেই সকল বাঁধা বিপত্তি কে পার করে কাজ করার নামই হলো সফলতা। ঠিক আমার বেলাতেও তাই হয়েছে তারপরও হাল ছাড়িনি কাজ চালিয়ে গিয়েছি। হয়তো সফলতা যাকে বলে সেটা হতে পারি নাই ।তবুও কাজ করে যাচ্ছি ।থেমে যায়নি একদিন না একদিন সফলতা আসবেই ।এই স্বপ্ন নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা। স্বপ্ন দেখাটাই হলো আমাদের কাজের মূল উৎস।

আসলে প্রথমে কেউ কোন কাজের সাপোর্ট দিতে চায়না। ভালোবাসা আর ধৈর্য দিয়ে সাপোর্ট আদায় করে নিতে হয়। তারপরও বলতে হয় সাপোর্ট তো অবশ্যই পেয়েছি। প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমার স্বামী ও শাশুড়ির।

আপনার উদ্যোগটি নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

প্রত্যেকেই কিছু না কিছু পরিকল্পনা থাকে। এই পরিকল্পনা ছাড়া কেউ কোন কাজে সফলতা পায় না। তাই আমারও একটি স্বপ্ন ও পরিকল্পনা আছে সেটা হলো– আমার নিজের একটা পরিচয়ে। আমার পরিচয় আমি বড় হব এবং এগিয়ে যেতে চাই। আমার প্রোডাক্ট আমি পৌঁছে দিতে চাই বিশ্বের প্রতিটা দ্বারপ্রান্তে। এবং সেইসাথে আমার খাবারের প্রোডাক্ট পৌঁছে দিতে চাই বিশ্বের প্রতিটা দ্বার প্রান্তে। ইনশাআল্লাহ সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি।।

RedLive

Related post

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।